Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সৌদিতে অগ্নিকাণ্ড: ২৭ দিন পর এলো ৭ বাংলাদেশির মরদেহ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৯ আগস্ট ২০২৩ ১৯:০৯

রাজশাহী: সৌদি আরবের দাম্মামে ফার্নিচারের কারখানায় আগুনে আটজন বাংলাদেশির মধ্যে সাতজনের মরদেহ ২৭ দিন পর দেশে পৌঁছেছে। এর মধ্যে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার চারজন, নওগাঁর আত্রাই উপজেলার দুইজন ও নাটোর নলডাঙা উপজেলার একজন রয়েছেন।

বুধবার (৯ আগস্ট) দুপুরে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

এর আগে ১৪ জুলাই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। ঘটনার পরে তাদের মরদেহ হুফুফ কিং ফাহাদ মর্গে রাখা হয়েছিল।

রাজশাহী অঞ্চলের নিহতরা হলেন- রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বারইপাড়ার জফির উদ্দিনের ছেলে রুবেল হোসাইন, একই এলাকার জমিরের ছেলে মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম, শাহাদাত হোসাইনের ছেলে মো. আরিফ, বাগমারার বড় মাধাইমুরির আনিসুর রহমান সরদারের ছেলে ফিরুজ আলী সরদার, নওগাঁর আত্রাই উপজেলার উদয়পুরের মন্ডল পাড়ার মৃত রহমান সরদারের ছেলে বারেক সরদার (৪৫), একই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া গ্রামের মৃত আজিজার প্রামাণিকের ছেলে রমজান আলী (৩৩), নাটোরের নলডাঙ্গার খাজুরা ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে ওবায়দুল হক (৩৩)।

এদিকে, দুপুর পৌনে দুইটার দিকে রাজশাহীর বাগমারা, নাটোর ও নওগাঁর নিহতদের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে লাশবাহী গাড়িতে পৌঁছালে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। প্রিয় মানুষকে হারিয়ে আহাজারি করতে থাকে স্বজনরা। এর আগে নিহতদের মরদেহ দেশে আসার খবরে পরিবারের পক্ষ থেকে জানাজা ও দাফনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়।

দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বাগমারা উপজেলার বারইপাড়ার জফির উদ্দিনের ছেলে রুবেল হোসাইনের জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।

রুবেলের স্বজনরে জানান, দীর্ঘ ২৭ দিন পরে মরদেহ পেয়েছেন তারা। তবে দেরিতে হলেও মরদেহ পাওয়ায় সন্তুষ্ট তারা।

এ বিষয়ে বাগমারা উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এএফএম আবু সুফিয়ান বলেন, সৌদি আরবের নিহতদের মধ্যে চারজন বাগমারার। তাদের মরদেহ সকালে ঢাকা থেকে নিয়ে রওয়ানা দেয়। দুপুরে এসে পৌঁছায়। জানাজা ও দাফনও সম্পন্ন করা হয়েছে। সরকারিভাবে সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা নিহতদের পরিবারকে করা হবে।

একই ঘটনায় অপর নিহত হলেন-নাটোরের নলডাঙ্গার খাজুরা ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে ওবায়দুল হক (৩৩)। তারও মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেছে।

নলডাঙ্গার খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বলেন, ওবাইদুলের মরদেহ পরিবার পেয়েছে। কবর আগে থেকে প্রস্তুত করা ছিল। দুপুর আড়াইটায় চাঁদপুর বাজারে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।

সৌদি আরবের এ ঘটনায় নওগাঁর আত্রাই উপজেলার উদয়পুরের মন্ডলপাড়ার মৃত রহমান সরদারের ছেলে বারেক সরদার (৪৫), একই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া গ্রামের মৃত আজিজার প্রামাণিকের ছেলে রমজান আলীর (৩৩) মৃত্যু হয়। দুপুরে তাদের মরদেহ নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।

আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইকতেখারুল ইসলাম বলেন, ‘নিহতদের মরদের আসার পরে বাদ জোহর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত মাসের ১৪ জুলাই সন্ধ্যায় সৌদি আরবের দাম্মামে ফার্নিচারের কারখানায় আগুনে আটজন বাংলাদেশির মধ্যে সাতজন রাজশাহী অঞ্চলের। এছাড়া মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের সস্তাল গ্রামের ইউনুস ঢালীর ছেলে জুবায়ের ঢালী। তারও মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সারাবাংলা/এনইউ

টপ নিউজ দেশে বাংলাদেশি মরদেহ সৌদি অগ্নিকাণ্ড


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর