সরকারি অর্থ তছরুপের অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে
৯ আগস্ট ২০২৩ ২০:১৮
ঠাকুরগাঁও: জেলার হরিপুর উপজেলার গেদুরা ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও মেদনী সাগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুনীর্তির অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের গ্যারেজ, অফিস কক্ষ ও ওয়াশ ব্লক নিমার্ণ প্রকল্প দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ’সহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে চেয়ারম্যান তরিকুলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ইউপি সদস্য মুনজুর আলম।
ওই অভিযোগে বলা হয়, ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তরিকুল ইসলাম বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। একক সিদ্ধান্তে পরিষদ চালাচ্ছেন তিনি। মেদনী সাগর উচ্চ বিদ্যালয়ের গ্যারেজ ও অফিস কক্ষ এবং ওয়াশ ব্লক নিমার্ণ প্রকল্প দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। একইভাবে ইউপি চেয়ারম্যান কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় মাটি ভরাট, মন্নাটুলী ও আটঘড়িয়া বাজারে মাটি ভরাট না করে টিআর’র বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে বনগাঁও ক্লাবের উন্নয়নের বরাদ্দকৃত টাকা নয়-ছয় করারও অভিযোগ করা হয়েছে। ওই ক্লাবের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম। এ বিষয়ে ক্লাব সদস্য শরিয়ত উল্লাহ বলেন, ‘কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে তিনি অবগত নন। তবে নতুন ভবনের ভিত্তি কাজ শুরু করে টাকার অভাবে কাজ বন্ধ রয়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেদনী সাগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী এক শিক্ষক বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক এখন ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি কী করেন, তিনিই ভালো জানেন। ২০১৯ সালে ওয়াশ ব্লকের কাজ করে ব্র্যাক নামে একটি বেসরকারি সংস্থা। তবে নির্মাণ কাজে স্কুলের ২৫ ভাগ তহবিলও রয়েছে।’
ইউপি সদস্য মুনজুর আলমের অভিযোগে জানা যায়, ২০২১-২০২২ এবং ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ইউনিয়ন উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের বিবিজি, টিআর, কাবিখা-কাবিটা ও উপজেলা পরিষদের প্রাপ্ত অর্থ হাট উন্নয়নসহ ১৫টি প্রকল্পের সরকারি অর্থ তুলে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের নামমাত্র কাজ দেখিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান অর্থ উত্তোলন করে, তা আত্মসাৎ করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের আয়ের টাকা অ্যাকাউন্টে জমা না করে তিনি ব্যয় করছেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার শরীরে বিএনপির গন্ধ আছে। প্রতিহিংসা হয়ে অভিযোগ করেছে আমার বিরুদ্ধে। আমি কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি করিনি।’
হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুজ্জামান বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি আপনার কাছে জানলাম।’
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘চেয়ারম্যানের বিরদ্ধে লিখিত অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।’
সারাবাংলা/ইআইবি/এনএস