লন্ডনে তারেকের সঠিক ঠিকানা যুক্ত করে দরখাস্ত করার নির্দেশ
১০ আগস্ট ২০২৩ ১২:৫৬
ঢাকা: গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সব মাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধে জারি করা রুল শুনানির জন্য তারেক রহমানের লন্ডনের সঠিক ঠিকানা যুক্ত করে আবেদন করতে বলেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশনা দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা ও নাসরিন সিদ্দিকা লিনা। অন্যদিকে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন ও কায়সার কামাল।
২০১৫ সালে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রুল জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানির জন্য রিটকারী সম্প্রতি আদালতে আবেদন করেন। শুনানির ধারাবাহিকতায় আজ রিটকারীকে তারেক রহমানের লন্ডনের সঠিক ঠিকানা যুক্ত করে আবেদন করতে বলেছেন আদালত।
এর আগে, ৮ আগস্ট হাইকোর্টের একই বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য উঠে। শুনানিতে হাইকোর্ট জানতে চান, তারেক রহমানকে তো নোটিশ দেওয়া হয়নি। কীভাবে রুল শুনানি হবে? জবাবে রিটকারী আইনজীবী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘উনাকে কোনো ঠিকানায় পাওয়া যায়নি। তবে এর তীব্র বিরোধিতা করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।’
এক পর্যায়ে আওয়ামীপন্থী এক আইনজীবী তারেক রহমানকে পলাতক বলার সঙ্গে সঙ্গেই এজলাসে হট্টগোল শুরু হয়। চলে বাগবিতণ্ডা।
পরে হাইকোর্ট বলেন, ‘রুলস অনুযায়ী অবশ্যই নোটিশ দিতে হবে তারেক রহমানকে। তবে সেটা কোন প্রক্রিয়ায় তার উপায় খুঁজতে হবে। বিকল্প পদ্ধতি বের করতে হবে।’
এ সময় বিএনপির আইনজীবীদের উদ্দেশে হাইকোর্ট বলেন, আপনারা যেহেতু এ মামলার শুনানিতে এসেছেন, এক অর্থে তো আপনারা নোটিশ পেয়ে গেছেন। জবাবে বিএনপিপন্থি আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, আমরা ন্যায়বিচারের জন্য এখানে এসেছি। নোটিশ পেয়ে নয়।
এরপর আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজকের দিন (১০ আগস্ট) ধার্য করেন।
এর আগে, একই বেঞ্চ প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধের বিষয়ে জারি করা রুল শুনবেন বলেছিলেন হাইকোর্ট। এ কারণে রুল প্রস্তুত হওয়ার পর আবেদনকারীদের আসতে বলেছিলন হাইকোর্ট।
গত ৩ আগস্ট বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকা অবস্থায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য বা বিবৃতি সব ধরনের গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে তথ্য সচিবের প্রতি কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ অর্ন্তর্বতীকালীন এ আদেশ দিয়েছিলেন।
পাশাপাশি তারেক রহমানের বিদেশের অবস্থা সম্পর্কে জানাতে পররাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তার পাসপোর্টের মেয়াদের বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) একটি প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর দীর্ঘ দিন পর সম্প্রতি তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে ওই রুল শুনানির উদ্যোগ নেয় রিটকারী। এরই ধারাবাহিকতায় আজ আদালত তারেকের লন্ডনের সঠিক ঠিকানা যুক্ত করে আবেদন করতে বলেছেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ