Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

২৩ হাজার টাকা মজুরির দাবিতে স্মারকলিপি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১০ আগস্ট ২০২৩ ১৮:২৯

ঢাকা: ২৩ হাজার টাকা মজুরির দাবিতে ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদে। এর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) এসব কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন এম. দেলোয়ার হোসেন, মাহতাবউদ্দিন শহীদ, বজলুর রহমান বাবলু, সুলতানা বেগম, মো. ইলিয়াস, তাহমিনা রহমান, জান্নাত ফাতেমা, নজরুল ইসলাম, ফজলুর রহমান ফজলু।

বিজ্ঞাপন

সংগঠনের নেতারা বলেন, ‘বর্তমান ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির যাতাকলে শ্রমিক জীবন নিষ্পেষিত হচ্ছে। ক্রমাগত বিদ্যুৎ, পানি এবং গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির কারণে শিল্প এলাকায় অস্বাভাবিক বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে জীবন-জীবিকা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। বর্তমানে একজন শ্রমিক পরিবারকে সাধারণ হিসাবেই মাসিক জনপ্রতি ৪ হাজার টাকা খাদ্য বাবদ প্রয়োজন এবং ৪ জনের খাদ্য বাবদ ১৬ হাজার টাকা দরকার, বাড়িভাড়া বাবদ ১ হাজার টাকা এবং ২ সন্তান এর পড়ালেখার ন্যূনতম খরচ ২ হাজার টাকা প্রয়োজন, চিকিৎসা খরচ ন্যূনতম ২ হাজার টাকা, যাতায়াত বাবদ ১ হাজার টাকা, বিনোদন ২ হাজার টাকা, খাদ্যবহির্ভুত খরচ ১ হাজার টাকাসহ ন্যূনতম সঞ্চয়-১ হাজার টাকা; সর্বমোট ৩৫ হাজার টাকা প্রয়োজন। আপনারা বিবেক দ্বারা বিবেচনা করুন কীভাবে বিশ্ব-বাজারে পোশাকখাত রফতানির অগ্রযাত্রা কে ধরে রাখবে যদি শ্রমিক তার নায্য মজুরি না পায়?’

নেতারা আরও বলেন, ‘এরইমধ্যে শ্রম মন্ত্রণালয় দেশের পোশাক খাতের শ্রমিক সংগঠন সমূহের সঙ্গে আলোচনা ব্যতিরেকে নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিকে পোশাক খাতের নিম্নতম মজুরি বোর্ডের শ্রমিক পক্ষের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে। বোর্ড গত ২৪ মে সভা করলেও আশানরূপ তৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে না। একতরফা সদস্য মনোনয়নের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। সঙ্গে সঙ্গে আমরা বুঝতে পারছি সরকার মালিকপক্ষের প্রেসক্রিপশনে যাকে মজুরি বোর্ডের সদস্য করেছে তাকে দিয়ে গার্মেন্টস খাতের শ্রমিকদের কাঙ্ক্ষিত মজুরি পাওয়া কতটুকু সম্ভব হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

সংগঠনের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— বাজারদরের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ৭ম গ্রেডের সহকারি অপারেটর এর মজুরি ২৩ হাজার টাকা নির্ধারণের পাশাপাশি ৭টি গ্রেডের মধ্যে ৫ম এবং ৬ষ্ঠ গ্রেড বিলুপ্তির সুপারিশ করছি। বাকি গ্রেডে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ব্যবধান রেখে নতুন মজুরি কাঠামো প্রণয়ন করার দাবি করছি। এছাড়াও সংগঠনটির বেশ কিছু দাবি রয়েছে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/একে

গার্মেন্ট পোশাক শিল্প মজুরি বোর্ড

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর