Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আইএমএফ মানদণ্ডে বাংলাদেশের রিজার্ভ ২৩.২৬ বিলিয়ন ডলার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১০ আগস্ট ২০২৩ ২০:২০

ঢাকা : আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের (বিপিএম-৬) হিসাব পদ্ধতি মেনে আবারও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের নতুন হিসাব বা গ্রোস রিজার্ভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন হিসাব অনুযায়ী দেশে বর্তমানে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ ২৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৩২৬ কোটি ডলারের কিছু বেশি। এটি দিয়ে ৪ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজস্ব ওয়েয়বসাইটে এই হিসাব প্রকাশ করেছে।

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজেদের হিসাবে রিজার্ভ দেখানো হয়েছে ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার। এর আগে গত ১৩ জুলাই প্রথমবারের মতো আইএমএফের মানদণ্ড মেনে রিজার্ভ প্রকাশ করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওইদিন আইএমএফ’র মানধন্ড অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৩ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব হিসাবমতে রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার।

জানা গেছে, বাংলাদেশকে দেওয়া আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের অন্যতম শর্ত ছিল বিপিএম-৬ ফর্মুলা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গণনা। এটি চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যেই প্রকাশ করার কথা ছিল। সেই শর্তের আলোকে গত জুলাই মাস থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক এ হিসাব প্রকাশ করছে।

এর আগে, গত জুন মাসে আইএমএফের বিপিএম-৬ ফর্মুলা অনুযায়ী দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব গণনা অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে দেশের যে রিজার্ভ (২৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার) আছে তা দিয়ে ৪ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক আইএমএফের ব্যালেন্স অফ পেমেন্টস এবং ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল ৬ সংস্করণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গ্রস আন্তর্জাতিক রিজার্ভ সংকলন করেছে। যা বিপিএম-৬ নামেও পরিচিত। মোট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ (জিআইআর) বলতে বোঝায় একটি দেশের মোট ধারণকৃত বৈদেশিক মুদ্রা সম্পদ যা আন্তর্জাতিক লেনদেনে ব্যবহারের জন্য সহজলভ্য। তবে বাংলাদেশ এতদিন জিআইআর মানত না। এতদিন রিজার্ভ থেকে রফতানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) এর সরবরাহ করা সাত বিলিয়ন ও শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ২০ কোটি ডলার রিজার্ভে দেখাচ্ছিল। এ ছাড়া গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ) ২০ কোটি, লং টার্ম ফিন্যান্সিং ফ্যাসিলিটি (এলটিএফএফ) তহবিলে ৩ কোটি ৮৫ লাখ, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানকে ৪ কোটি ৮০ লাখ এবং ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইটিএফসি) এর আমানত রিজার্ভে দেখাচ্ছিল।

উল্লেখ্য গত ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বৈঠকে আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। ঋণ অনুমোদনের তিন দিনের মাথায় সংস্থাটি প্রথম কিস্তির অর্থ ছাড় দিয়েছিল।

এ ছাড়া ঋণের বাকি অর্থ পাওয়া যাবে তিন বছরে অর্থাৎ ছয়টি সমান কিস্তিতে ৩৬ মাসে। দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়া যাবে এ বছরের ডিসেম্বরে আর শেষ কিস্তি পাওয়া যাবে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে। এ সব কিস্তির পরিমাণ ৭০ কোটি ৪০ লাখ ডলার করে। এই ঋণের অন্যতম একটি শর্ত ছিল রিজার্ভের সঠিক তথ্য প্রকাশ করা।

সারাবাংলা/জিএস/একে

বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর