বিএনপির গণমিছিল শুরু
১১ আগস্ট ২০২৩ ১৫:৪১
ঢাকা: সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির এক দফা দাবিতে বিএনপির গণমিছিল শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টায় বাড্ডা সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে এ গণমিছিল শুরু হয়। এটি শেষ হবে মালিবাগ আবুল হোটেলের সামনে গিয়ে।
গণমিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার সঙ্গে আছেন— দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, শামসুজ্জামান দুদু, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, জয়নুল আবদিন ফারুক, হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, আতাউর রহমান ঢালী, জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, যুগ্ম মহাসচিব এ্যাড. মজিবর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশারফ হোসেন, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম এবং শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দীকিসহ অনেকে।
গণমিছিলের সমন্বয়ের দায়িত্বে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।
গণমিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের কথা খুব পরিষ্কার, অনতিবিলম্বে এই সরকারের পদত্যাগ করতে হবে। তারপর একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন দিতে হবে। সেই নির্বাচন জনগণ যে দলকে ভোট দেবে, সেই দল সরকার গঠন করবে। অন্যথায় রাজপথেই ফায়সলা হবে।’
গণমিছিলে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মী, সমর্থক অংশ নিয়েছে। ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলাদল, মুক্তিযোদ্ধাদল, কৃষকদল, শ্রমিকদল, তাঁতীদল, ওলামাদলসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা নিজ নিজ সংগঠনের ব্যানারে গণমিছিলে যোগ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তারা মিছিল দিচ্ছেন।
এদিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে একই সময় কমলাপুর স্টেডিয়াম থেকে গণমিছিল শুরু হয়েছে। এটি মালিবাগ রেলগেটে গিয়ে শেষ হবে।
মহানগর দক্ষিণ বিএনপির এ গণমিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তার সঙ্গে আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমদ আযম খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন,অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, মঈনুল ইসলাম খান শান্ত, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, হারুন অর রশিদ, বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দীন আহমেদ অসীম, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদা বেগম হীরা, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ অনেকে।
গণমিছিল সমন্বয় করছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম ও ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।
গত ২৯ জুলাই ঢাকার মুখে অবস্থান কর্মসূচির পর ১১দিন বিরতি দিয়ে ফের মাঠে গড়াল বিএনপির আন্দোলন। এ আন্দোলন চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে চায় দলটি। তাদের সঙ্গে থাকা সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোট অভিন্ন ইস্যুতে ঢাকার অন্তত আটটি স্পটে গণমিছিল করছে।
সারাবাংলা/এজেড/এমও