রণে ভঙ্গ নয়, আন্দোলন পুনর্গঠন হচ্ছে: গণতন্ত্র মঞ্চ
১১ আগস্ট ২০২৩ ১৯:০০
ঢাকা: গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, ‘সরকার যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন করতে চায় তা হলে দেশ স্থিতিশীল থাকবে না। দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। সরকার পতনের আন্দোলন রণে ভঙ্গ হয়নি, আন্দোলন পুনর্গঠন করা হচ্ছে। শিগগিরই সরকার পতনের জন্য জনগণ চূড়ান্ত আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে।’
শুক্রবার (১১ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পূর্বঘোষিত যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি অনুযায়ী গণমিছিল শুরুর আগে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাহামুদর রহমান মান্না, জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রধান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বায়ক আ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডি নেত্রী তানিয়া রবসহ অনেকে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহামুদর রহমান মান্না সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার ভাড়াটিয়াদের দিয়ে জরিপ করিয়েছে। জরিপে শতকরা ৭০ ভাগ মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে রয়েছে। আবার পা চাটা বাম দলের কিছু নেতা চিনে গিয়ে সরকারের জনপ্রিয়তার কথা বলে আসছে। তাই যদি হয়, তা হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে জনপ্রিয়তা প্রমাণ করুন। সাহস থাকলে আইনকে নিজ গতিতে চলতে দিন। তা হলে দেখবেন পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনী বাতিল হয়ে যাবে।‘
‘বিরোধী দলের আন্দোলন রণে ভঙ্গ হয়েছে’- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই উক্তি বিষয়ে মান্না বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন রণেভঙ্গ হয়নি। আন্দোলন বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ভোট ডাকাত সরকারকে নাকে খত দিয়ে বিদায় নিতে হবে।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘মানুষের নিরাপত্তা ও অধিকার কেড়ে নিয়ে সরকার নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে না। বিরোধীদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার ক্ষমতা না থাকায় সরকারকে দমন, নিপীড়ন, হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের পথ নিয়েছে। নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনও সরকারকে রক্ষা করতে পারবে না।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এই সরকারের হাত রক্তে রঞ্জিত। যে সরকার বিরোধী দলের মিছিলের ওপর গুলি চালায় সে সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না। তাই শেখ হাসিনা সরকারেরও আয়ু কমে আসছে।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমও