Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘যে দলের নেতারা সাজাপ্রাপ্ত তারা ক্ষমতায় যাবে কী নিয়ে?’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১২ আগস্ট ২০২৩ ২৩:১৯

ঢাকা: বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বৈরতন্ত্র ও মিলিটারি ডিটেকটরশিপের পকেট থেকে যাদের জন্ম তারা কীসের গণতন্ত্র দেবে, কীসের গণতন্ত্র আনবে? যে দলের নেতারা সাজাপ্রাপ্ত তারা ক্ষমতায় যাবে কী নিয়ে? আসল কথা হলো, এরা দেশে কোনো গণতন্ত্র থাকতে দেবে না। দেশের মানুষের উন্নয়ন তাদের পছন্দ হয় না।

শনিবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভার শুরুতে ১৫ আগস্ট নিহতসহ সকল শহিদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রুদ্ধদার বৈঠক হয়।

বিজ্ঞাপন

২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রাপ্ত আসন সংখ্যার দিকে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মানুষের জন্য কাজ করে। মানুষের জন্য কাজ করে, তাদের মন জয় করে, তাদের ভোটে বারবার ক্ষমতায় এসেছে। ২০১৪ সালে ইলেকশন করবে না। আমরা জানি কেন ইলেকশন করবে না। কারণ ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা মাত্র ৩০টা সিট পেয়েছে।’ তাই নির্বাচন ঠেকানোর নামে বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল বলে দাবি করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘২০১৩-১৪ তাদের যে ভয়াবহ রূপ, যেভাবে তারা মানুষ হত্যা ও নির্যাতন করেছে সেটা কি মানুষ এত তাড়াতাড়ি ভুলে যাবে? এটা তো মানুষ ভুলবে না। এর জবাব তারা কী দেবে? আমি জবাব চাই বিএনপির কাছে, খালেদা জিয়ার কাছে, তারেক জিয়া ও তার দলের কাছে। তারেক তো সাজাপ্রাপ্ত আসামি। ওর কাছে বলার কিছু নেই।’

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২১ আগস্ট আমরা কী অপরাধ করেছিলাম? এভাবে প্রকাশ্যে দিবালোকে গ্রেনেড হামলা, তারপরে জর্জ মিয়া নাটক। পরে সেই কিলারদের দেশ থেকে বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা। সেগুলো কারা করেছিল এবং খুনিদের সঙ্গে কাদের যোগসাজেশ আছে- এটা তো খুব স্পষ্ট। কারণ ওইদিন ডালিম ও রশিদ তো ঢাকায় ছিল এবং খালেদা জিয়া তা জানতো। রাতের বেলা যখন দেখল আমি মরি নাই, তখন তাড়াতাড়ি সেই তাজউদ্দিন-রশিদ-ডালিমসহ আরও একজনকে তাড়াতাড়ি বিদেশে পাঠিয়ে দিল।’

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের রক্ত যাদের হাতে তারা কোন মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে? গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিযে কি বিএনপির জন্ম হয়েছে? তা তো হয় নাই। যার হাত জাতির পিতার রক্তে রঞ্জিত, যার হাত হাজার হাজার সেনাবাহিনীর সৈনিক অফিসার ও বিমানবাহিনীর অফিসারের রক্তে রঞ্জিত, তার হাতে গড়া দল বিএনপি। এই কথাটা মানুষ কেন ভুলে যায় আমি জানি না? এটা তো মানুষের ভোলা উচিত না। বিএনপিকে এটাই জিজ্ঞাসা করতে হবে- তাহলে আপনাদের কী চেহারা ছিল সেটা বলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজ ভোট চুরির কথা বলে? আওয়ামী লীগের ভোট চুরি করা লাগে না। জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। ভোট চুরি তো বিএনপিই করে। ১৯৯৬ সালে ভোট চুরির পর একবার তাদের ক্ষমতা থেকে টেনে নামিয়েছে। ফের ২০০৬ সালে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার লিস্ট করেছিল। নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিল এবং তাদের অনেকে তখন নির্বাচিত হয়েছে। তারপর ইমার্জেন্সি আসার পর রাষ্ট্রপতি অর্ডিন্যান্স জারি করে সেই নির্বাচন বাতিল করে দেয়। ভোট চুরির নির্বাচন তারা দুই দুই বার করে রাখতে পারে নাই।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা যে কথা বলি সে কথা রাখি। বলেছিলাম শতভাগ বিদ্যুৎ দেব, দিয়েছি। বলেছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ করব, করেছি। ২০২১ সাল পর্যন্ত রূপকল্প ঘোষণা দিয়েছিলাম। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। এই যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা, ২০২৬ সালে সেটা কার্যকর হবে। এটা কার্যকর করতে হলে আওয়ামী লীগকেই ক্ষমতায় দরকার। এটা কার্যকর করতে আওয়ামী লীগকেই জনগণ ভোট দেবে। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েই মানুষ কিছু পায়।’

বিএনপির অপকর্মের ব্যাপারে দলীয় নেতাকর্মীদের দেশবাসীকে সচেতন করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, ‘ওরা দেশের সর্বনাশ করা ছাড়া কোনোদিন মানুষের জন্য কোনো কাজ করেনি, করবেও না, করতে পারেও না। খেলাধুলা সবদিক থেকেই তো দেশটাকে নষ্ট করে দিয়েছিল।’

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র প্রধানমন্ত্রী বিএনপি শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর