রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চার্জশুনানি ২০ সেপ্টেম্বর
১৩ আগস্ট ২০২৩ ১৪:২৮
ঢাকা: রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদেমের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা মামলায় চার্জগঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার (১৩ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালতে মামলাটি চার্জশুনানির জন্য ছিল। কিন্তু হুমায়ুন খাদেম অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য তারপক্ষে আইনজীবী শফিকুল ইসলাম সময় আবেদন করের।
আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে চার্জশুনানির জন্য নতুন করে এ তারিখ ঠিক করেন।
২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি রাজধানীর গুলশান এলাকার ৪৮ দশমিক ৬০ শতাংশ সরকারি সম্পত্তি ব্যক্তির নামে বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগে আটজনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপপরিচালক সেলিনা আখতার।
অপর আসামিরা হলেন- রাজউকের সাবেক পরিচালক আব্দুর রহমান ভূঞা (এ আর ভুঞা), প্লট বরাদ্দ পাওয়া আমির হোসেন দেওয়ান, এ কে এম সহিউজ্জামান, সহিউজ্জামানের স্ত্রী কামরুন নেছা, মো. মোশাররফ হোসেন, মো. জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিয়ার রহমান।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন সেলিনা আখতার। মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, রাজধানীর গুলশান মডেল টাউনের ৮৩ নম্বর রোডে ৪৮ দশমিক ৬০ শতাংশের প্লটটির মালিক ছিল প্রিন্স করিম আগা খানের মালিকানাধীন পিপলস জুট মিল। ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট আদেশে সম্পত্তিটি পরিত্যক্ত ঘোষিত হওয়ায় এর মালিক হয় সরকার। ১৯৯২ সালে এখানে নতুন চারটি প্লট করা হয় যেগুলোর হোল্ডিং নম্বর হচ্ছে- ২৮, ২৮(এ), ২৮(বি) ও ২৮(সি)। প্লটগুলো অবৈধভাবে আমির হোসেন দেওয়ান, এ কে এম সহিউজ্জামান মোশাররফ হোসেন, জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিউর রহমানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিউর রহমান প্লটের দখলে রয়েছেন। অপর দুটি হাতবদল হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানে রাজউক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সরকারি পরিত্যক্ত সম্পত্তি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যেখানে পরবর্তীতে গুলশান মডেল টাউনের অধীনে ইমারত নির্মাণ করা হয়।
সারাবাংলা/এআই/এনএস