Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘যখন আন্দোলন উঠতে থাকে, তখনই জঙ্গি নাটক শুরু হয়’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৩ আগস্ট ২০২৩ ১৭:৪০

ঢাকা: যখন বিএনপির আন্দোলন উঠতে থাকে, তখনই জঙ্গি নাটক শুরু হয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘কী রকম কূটকৌশলী এরা। কী রকম ভয়াবহ এরা। কুলাউড়ায় শহরসংলগ্ন একটা পাহাড়ি গ্রামে হঠাৎ করে দেখা গেল- জঙ্গীবিরোধী অভিযান। ছয়জন মহিলা, পাঁচজন শিশু, চারজন পুরুষ গ্রেফতার হয়ে গেল। আর কি? তিন কেজি বিষ্ফোরক। হঠাৎ করে এগুলো কোন জায়গা থেকে এল? কারা আনল? কীভাবে আনল? যখন আন্দোলন উঠতে থাকে, তার আগেই জঙ্গী নাটক শুরু হয়।’

‘প্রত্যেকবার দেখবেন, প্রতিক্ষেত্রে দেখবেন। এখন দেখবেন এই জঙ্গীর কথা বলে মানুষকে ডাইভার্ট করছে। তারা দৃষ্টি সরিয়ে নেবে। বিশ্ববাসীকে ভয় দেখাবে- এই দেখ, যদি আমরা না থাকি তাহলে বাংলাদেশে জঙ্গী নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এইভাবে নাটক করতে করতে তারা এই জায়গায় গেছে। এখন তারা বাংলাদেশকে গিলে ফেলেছে। গিলে ফেলার কারণে কী হয়েছে? দেখা যাচ্ছে, তাদের যে বিভিন্ন অপকীর্তি, সেগুলো কেবল বাংলাদেশ না, বিদেশেও প্রকাশ হয়ে গেছে’- বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘এখন যে জায়গায় আমরা পৌঁছেছি- ক্রীড়াঙ্গণে, ফুটবলে, ক্রিকেটে এত বেশি রাজনীতিকরণ করা হয়েছে যে, এখানে কোনো প্রতিভা, যোগ্যতা, ট্যালেন্ট কাজে আসছে না। আমরা আগে দেখেছি, ফুটবল হত, ভলিবল হত, হকি হত এইগুলো এখন আর হয় না। মূল সমস্যাটা কোথায়? মূল বিষয়টা হচ্ছে, যারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে আছে, তারা রাষ্ট্রকে কীভাবে পরিচালনা করবে, সমস্যাটা ওই জায়গায়।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা যে স্পিরিটের উপরে, যে মূল বিষয়ের উপরে ৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হবে বাংলাদেশ। যেখানে সকলের সমান সুযোগ থাকবে, যেখানে মানুষ মেধার বিকাশ ঘটাতে পারবে। সেই রাষ্ট্র আজ দখল হয়ে গেছে কিছু সংখ্যক মানুষের হাতে। যারা এই রাষ্ট্রকে নিজেদের সম্পত্তি, পৈত্রিক সম্পত্তি হিসেবে বিবেচেনা করে।

তিনি বলেন, ‘আপনারা ফুটবলের কথা বললেন। আমার লজ্জা হয়, সত্যিকারে লজ্জা হয় যে, সেখান (ফিফা) থেকে তদন্ত আসার পরও কীভাবে তারা বাফুফের দায়িত্বে থাকেন, সেটা আমরা বুঝে আসে না। এটা জাতির জন্য লজ্জার যে, ফিফার টাকা তারা মেরে খেয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ক্রিকেটের প্রচুর টাকা। সেই টাকাগুলো কি সত্যিকার অর্থেই সঠিক হিসাব হয়? আমি জানি না। কী কারণে বগুড়া শহিদ চান্দু স্টেডিয়ামকে একেবারে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে? এটার তো কোনো কৈফিয়ত দেওয়া হয়নি। একটাই কারণ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। বগুড়া প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। ওখানে চমৎকার একটা হাসপাতাল আছে। যেহেতু ওটার নাম জিয়া মেমোরিয়াল হাসপাতাল, জিয়ার নাম আছে, সুতরাং ওটাকে কোনো রকমের অনুদান দেওয়া হয় না। প্লাস্টার, টাইল, ফ্লোর ভেঙে গেছে। এটাকে তারা বলে মেগা উন্নয়ন।’

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র ছাড়া কখনও এগুলো ঠিক হবে না। ফ্যাসিস্টদের হাতে কোনো দেশেরই মঙ্গল হয় না; ধ্বংস হয়। এরা যত কিছুই বলুক, সব কিছুর মূল উদ্দেশ্য হল চুরি করা।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন সমস্ত বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। আমাদের ক্রীড়াবিদরা শুনে নিশ্চিন্ত হবেন, বাংলাদেশের মানুষ এক বাক্যে একটা জিনিস চায়, সেটা হচ্ছে শেখ হাসিনার পদত্যাগ। এবং তারা সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চায়। আমি আপনাদের নিশ্চিয়তা দিচ্ছি, এ সরকার আর থাকবে না।’

বেগম খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অতন্ত অসুস্থ। পৃথিবীর যে কোনো সভ্য দেশ হলে সরকার নিজে উদ্যোগ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতো। ডাক্তাররা বারবার করে বলছে যে, তার চিকিৎসা এখানে আর সম্ভব না। এখন তার যে চিকিৎসা প্রয়োজন, তা কেবল উন্নত দেশে, উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্র আছে। এরা (সরকার) প্রতিহিংসার এমন একটা জায়গায় চলে গেছে যে, এরা মনে প্রাণে প্রতি মহূর্তে চায় বেগম খালেদা জিয়া চলে যাক।’

সারাবাংলা/এজেড/এনইউ

আন্দোলন টপ নিউজ বিএনপি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর