Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস নির্মূলে আলেম-ওলামাদের সহযোগিতা চাই’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৩ আগস্ট ২০২৩ ১৮:১৩

ঢাকা: দেশ থেকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূলে সরকারকে সাহায্য করার জন্য সবাইকে বিশেষ করে আলেম-ওলামাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা কুসংস্কার, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূলে আপনাদের (আলেম-ওলামাদের) সহযোগিতা চাই।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার (১৩ আগস্ট) সকালে জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা-২০২৩-এর জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ী হাফেজদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণকালে আরও বলেন, ‘আমি আপনাদের সকলকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি যাতে আমাদের সন্তানরা বিপথে যেতে না পারে।’

বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ দ্বীনি সেবা ফাউন্ডেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রধানমন্ত্রী আলেম-ওলামাদেরকে ইসলামের প্রকৃত মর্মবাণী ছড়িয়ে দিতে বলেন, ‘যেন কেউ কাউকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের পথে বিচ্যুত করতে না পারে এবং ইসলামের বদনাম করতে না পারে। কেননা ইসলাম পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম এবং সর্বদা শান্তির কথা বলে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসী, তারা সন্ত্রাসী। তারা কোনো ধর্ম, দেশ বা জাতি গোষ্ঠীর নয়। তাই সবার কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, আমাদের ধর্মের মান ইজ্জতটা রক্ষা করবেন। কেউ যেন এই বিপথে না যায়। সন্তানের নিয়মিত স্কুল-কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিতির বিষয়টি এবং কার সঙ্গে মিশছে সে বিষয়টা আপনাদের লক্ষ রাখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম, সেই ধর্মের সঙ্গে সামান্য মুষ্টিমেয় কয়েকজনের জন্য কেন সন্ত্রাসী নামটা যুক্ত হবে? সত্যিকারের যারা ধর্মে বিশ্বাসী তাদের জন্য এটি খুব কষ্টদায়ক। কাজেই আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ, এই সমস্ত কুসংস্কার, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূলের ক্ষেত্রে আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনাদের দোয়া চাই এবং আমাদের ছেলে মেয়েরা যেন বিপথে না যায় সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই।’

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নানা ধর্মের লোক এই বাংলাদেশে আছে এবং যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে এটা আমাদের নবী করীম (সা.) এর শিক্ষা, আমরা সেভাবেই চলব। চূড়ান্ত বিচার বা শেষ বিচার করবেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন। কাজেই কে কোন ধর্মের, কে হিন্দু না মুসলমান না বৌদ্ধ না খ্রিস্টান না কাদিয়ানী তা দেখার দায়িত্ব আমাদের না। যার যার কর্মফল সে সে ভোগ করবে।’

বিচারের ভার নিজেদের হাতে তুলে না নিয়ে বরং আরও বেশি সংখ্যক মানুষ যেন ইসলামের ছায়াতলে আসে সে জন্য সবার প্রচেষ্টা থাকা উচিত বলেও তিনি মনে করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আলেম ও ওলামায়ে কেরাম যারা আছেন আপনাদের কাছে আমার এই অনুরোধ ইসলাম ধর্মের মর্ম বাণী প্রচার করে আরও অধিক সংখ্যক মানুষ যেন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে পারে সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। সন্ত্রাস করে ইসলাম সম্পর্কে বদনাম যেন কেউ না করতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘এই যে কোমলতি ছেলেদের মাথাগুলো খারাপ করে দিয়ে তাদের বিপথে চালানো, তাদের জীবনটাকে ধ্বংস করা, সুইসাইড অ্যাটাক করে মানুষ মারা- এটা তো ইসলাম ধর্মে মহাপাপ, গোনাহের কাজ। সুইসাইড করলে তো কেউ বেহেশতে যাবে না এটাই তো বলা আছে।’

কোমলমতি শিশু-কিশোরদের সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ থেকে দূরে রাখতে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সুইসাইড (আত্মহত্যা) করে মানুষ হত্যা করে কোন বেহেশতে যাচ্ছে তারা? এই বিপথ থেকে তাদের সরাতে হবে। এটি ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ইসলাম ধর্মের নামে বদনাম দেওয়া হয়। এই বদনামের হাত থেকে ইসলামকে রক্ষা করতে হবে।’

‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই আজ এদেশের মানুষ দু’বেলা পেটভরে ভাত খেতে পারছে’ উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন,‘আজকে সকলকে আমরা ঘর তৈরি করে দিচ্ছি, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে বিনা পয়সায় ৩০ প্রকার ওষুধ দিচ্ছি, মানুষকে শিক্ষা এবং কম্পিউটার শিক্ষার ব্যবস্থা করে দেওয়ায় তারা দেশে-বিদেশে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে, কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি যাতে ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্গে পার্থিব শিক্ষা নিয়ে সকলে নিজেরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারে এবং আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ হতে পারে, সে ব্যবস্থাটাই আমরা করে দিচ্ছি।’

অনুষ্ঠানে বিজয়ী ৫ জন হাফেজের হাতে প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট, নগদ অর্থের চেক এবং সনদ তুলে দেন।

তারা হচ্ছেন প্রথম হাফেজ আফফান বিন সিরাজ, দ্বিতীয় হাফেজ মো. ওসমান গণি, তৃতীয় হাফেজ মো. আবু জাফর শাকিল (দৃষ্টি প্রতিবন্ধি), চতুর্থ হাফেজ মো. খালিদ সাইফুল্লাহ এবং পঞ্চম হাফেজ মো. মোতাসিম বিল্লাহ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মু.আ. হামিদ জমাদ্দার, বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালক মাওলানা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। যার মধ্যে রয়েছেন আলহাজ্ব সুফী মো. মিজানুর রহমান এবং হযরত মাওলানা সালাউদ্দিন নানোপুরী।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ও বাংলাদেশের দ্বীনি সেবা ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক আবুল কালাম আজাদ।

বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা প্রাপ্তির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, দারিদ্রের হার ৪০ ভাগ থেকে ১৮ ভাগে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। হতদরিদ্র ২৫ ভাগ থেকে ৫ ভাগে নামিয়ে এনেছি। আগামীতে বাংলাদেশে আর একটি মানুষও হতদরিদ্র থাকবে না। প্রতিটি মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা আমাদের এ দেশ স্বাধীন করে দিয়েছেন এবং আজকে আমরা বিশ্বে একটা মর্যাদা পেয়েছি সে মর্যাদা নিয়েই মাথা উঁচু করে আমরা চলতে চাই।’

পুরস্কার বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আশা করি, তোমরা পবিত্র কোরআনের মর্মবাণী ধারণ করে নিজেকে ও সমাজকে আলোকিত করবে। সমাজ থেকে কুসংস্কার, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে অবদান রাখবে এবং আদর্শ সমাজ ও শান্তিপূর্ণ দেশ গঠনে এগিয়ে আসবে।’

জাতীয়ভাবে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য উদ্যোক্তা-বাংলাদেশ দ্বীনি সেবা ফাউন্ডেশনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় আমাদের ছেলে-মেয়েরা প্রতি বছরই বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে অনেক ভালো ফল অর্জন করছে। তারা একাধিক গ্রুপে চ্যাম্পিয়নও হয়েছে। এটি বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় মর্যাদা ও গৌরবের বিষয়।’

এই ধরনের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন খাঁটি মুসলমান। তিনি যেমন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি তেমনি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলামের প্রচার-প্রসারের স্থপতিও তিনি। বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও মাদরাসা বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা তাবলীগ জামাতের জন্য কাকরাইল মসজিদে জমি দান করেন। টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার জন্য জায়গা বরাদ্দ দেন। জামিয়া মাদানিয়া দারুল উলুম যাত্রাবাড়ী কওমী মাদ্রাসা জন্যও জমি প্রদান করেন বঙ্গবন্ধু। তিনি বেতার ও টেলিভিশনের অনুষ্ঠান শুরু ও সমাপ্তিতে কুরআন তেলাওয়াতের প্রচলন করেন এবং আইন করে মদ নিষিদ্ধ করেন এবং ঘোড়দৌড় ও জুয়া বন্ধ করেন।’

মাত্র সাড়ে তিন বছরের সরকারে বঙ্গবন্ধু ইসলামের উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ নেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তার নেতৃত্বে মুসলিম বিশ্বসহ আরব দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপিত হয়। তার কূটনৈতিক দূরদর্শিতায় বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ওআইসি’র সদস্যপদ লাভ করে।’

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময়ই ইসলামের খেদমত ও উন্নয়নে কাজ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকারে আসার পর আমরা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণ করি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জন্য তার সরকার ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। আরবি, বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় পবিত্র কুরআনের ডিজিটাল ভার্সন তৈরি করেছে। কওমি মাদরাসার ডিগ্রির সরকারি স্বীকৃতি প্রদান করেছে, দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমান প্রদান করেছে। জাকাত তহবিল ব্যবস্থাপনা আইন ২০২৩ এবং ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে দুস্থ এবং আর্থিক দুর্দশাগ্রস্ত ইমাম-মুয়াজ্জিনদের আর্থিক সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ট্রাস্টের সদস্যভুক্ত ইমামদের সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।’ ট্রাস্টের সাহায্যার্থে তিনি সমাজের বিত্তবানদেরকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

আওয়ামী লীগ সরকারের ই-হজ ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জেদ্দা হজ্জ টার্মিনালে প্লাজা ভাড়া নেওয়ায় হাজীদের দুর্ভোগ বহুলাংশে লাঘব হয়েছে। আশকোনা হজক্যাম্প আধুনিকায়ন করে হজযাত্রীদের জন্য কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন অফিসও আধুনিকায়ন করা হয়েছে। পাশাপাশি মক্কা ও মদিনায় হজ অফিস খোলা হয়েছে এবং মক্কায় স্থায়ী হজ অফিস নির্মাণে সৌদি সরকারের কাছে জায়গা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।’

সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ৫৬৪টি মডেল মসজিদ কাম ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এরইমধ্যে ২৫০টি মসজিদ উদ্বোধন করা হয়েছে। এই মসজিদ কমপ্লেক্সে ইসলামিক ফাউন্ডেশন অফিস, মহিলাদের জন্য পৃথক নামাজ কক্ষ, মুসলিম পর্যটক ও মেহমানদের বিশ্রামাগার, ইসলামী লাইব্রেরি, হজ প্রশিক্ষণ ও ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে।’

সরকারের মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্প চলমান রয়েছে। চলতি মেয়াদে এ প্রকল্পে ১ হাজার ৫০৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৭৬ হাজার ৬৬০ জন আলেম-ওলামার কর্মসংস্থান হয়েছে। ৯৬ লাখ ১৬ হাজার শিক্ষার্থী মসজিদভিত্তিক শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন। দেশব্যাপী প্রতি উপজেলায় ২টি করে ১ হাজার ১০টি দারুল আরকাম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের জন্য আগামী ২০২৪ সাল পর্যন্ত ২শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, বলেন তিনি।

এই দেশের প্রত্যেকটা মানুষ যেন উন্নত জীবন পায় সেই লক্ষ্য নিয়ে তিনি কাজ করছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মা বাবা হারিয়ে যখন এদেশের মাটিতে ফিরে আসি সেই চেনামুখগুলো পাইনি, পেয়েছি বনানী কবরস্থানে সারি সারি লাশ। তবে, পেয়েছি দেশের মানুষের ভালোবাসা ও বিশ্বাস। যা আমাকে প্রেরণা যুগিয়েছে। এ জন্য আমি কোনো কিছুতেই ভয় পাই না।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘দেশের একটা মানুষও ভূমিহীন, গৃহহীন থাকবে না। আমাদের হিসাবে আর মাত্র ১১ হাজার ঘর বাকি আছে। এরপর আর কেউ গৃহহীন থাকবে না। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য এবং সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।’

সারাবাংলা/একে

আওয়ামী লীগ জঙ্গিবাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর