Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড নিয়ে সুশীল সমাজ চুপ থাকে’

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট
১৩ আগস্ট ২০২৩ ১৮:২৫

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড নিয়ে সুশীল সমাজ চুপ থাকে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা বা তার পরিবারকে নির্বংশ করার চেষ্টা নিয়ে তাদের কথা নেই। ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা নিয়ে কথা নেই। সেসময় মানবাধিকার কোথায় ছিল?

রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘ষড়যন্ত্রের উৎপাটনই শোকাবহ আগস্টের অঙ্গীকার’ শীর্ষক এই সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। এ ছাড়া মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান।

বঙ্গবন্ধু দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পথরেখা প্রণয়ন করেছেন জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. দীপু মনি বলেন, ‘সারাজীবনে বঙ্গবন্ধু কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেননি। ধাপে ধাপে সবকিছু করেছেন। পুরো দেশটাকে এগিয়ে নেওয়ার পথরেখা তৈরি করেছেন।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আজ একটি বাড়ি একটি খামার, সবুজ কৃষি, গৃহায়ন বা কেউ আশ্রয়হীন থাকবে না, শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়া— সবকিছুই মানুষদের জন্য করা। সেগুলোই বঙ্গবন্ধুকন্যা করে চলেছেন।’

বিডিআর বিদ্রোহের প্রসঙ্গ টেনে দীপু মনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর পিলখানায় বিডিআরের ঘটনা ঘটানো হলো। সেটা নিয়ে সেনাবাহিনীকে সরকারের বিরুদ্ধে উত্তপ্ত করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। তাই বলব, ষড়যন্ত্র আজও চলছে। সে সময় বেগম খালেদা জিয়ার রহস্যময় গতিবিধি ছিল। কাজেই ষড়যন্ত্র ছিল এবং আছে। এখন যুদ্ধের ক্ষেত্র অনেক বিস্তৃত ও ধরন বদলেছে। এখন সোশ্যাল মিডিয়া ও সাইবার জগতে চারিদিকে যুদ্ধ। আমাদের সেই যুদ্ধ করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

বিএনপির উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘তারা আজ মানবাধিকারের কথা বলে। অথচ ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন তাদের সময়ে ঘটেছে। সামরিক, আধা-সামরিক সরকার সবসময় নিজেদের সমস্যা এড়াতে সংখ্যালঘুদের ভেতর দাঙ্গা বাঁধিয়ে দিত। এমন রীতি অনেকদিন ছিল। আমরা সেটিকে হয়তো বন্ধ করতে পারিনি। তবে আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলে ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু নির্যাতনে নিশ্চিতভাবে পৃষ্ঠপোষকতা থাকে না।’

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে দীপু মনি বলেন, ‘তারা বলছে, তারা নাকি সংখ্যালঘু নির্যাতন করেনি! আমরা এতটাও ভোলা নই, ৭১ ভুলে যাইনি। ৯১ এরপরে, ২০০১ এর পরে কী হয়েছিল তা ভুলে যাইনি। গোপাল কৃষ্ণ, ফাহিমা-মুনিমা সব ভুলে যাব? যাদের মাধ্যমে আমরা এমন নৃশংসতা দেখেছি, তারা বলে আমরা নির্যাতন করিনি। আজ আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ষড়যন্ত্র আজও চলছে, একই লোকদের দিয়েই চলছে। এই ষড়যন্ত্রের প্রতিহত করতে সজাগ থাকতে হবে।’

সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.), বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমস প্রমুখ।

সারাবাংলা/আরআইআর/পিটিএম

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড সুশীল সমাজ

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর