বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপরে তিস্তার পানি, ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা
১৪ আগস্ট ২০২৩ ১৫:১০
রংপুর: ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সোমবার (১৪ আগস্ট ) ভোর ৬টায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। এমন পরিস্থিতিতে ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিকে পানি নিয়ন্ত্রণের ব্যারাজে ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, উজানে অতিভারী বৃষ্টির কারণে তিস্তাসহ অন্য নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত এ পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তা জানান, তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ও কাউনিয়া পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। একই সময়ে কুড়িগ্রামের ধরলা নদীর পানি কুড়িগ্রাম পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার, তালুক শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ১ দশমিক ৪ মিটার, দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৯০ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৬৯ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ৫৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তাপাড়ের বিভিন্ন এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা ঘরবাড়ি ছেড়ে গবাদিপশু নিয়ে বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। দুর্যোগ এড়াতে তিস্তা নদীর অববাহিকা, চর, দ্বীপচরে রেড এলার্ট জারি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুরের কাউনিয়া, গঙ্গাচড়া ও পীরগাছার নদীর অববাহিকা ও চর, দ্বীপচরে পানি ঢুকে পড়েছে। চরের অনেক আমন ধানের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে। যেসব এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে সেসব এলাকার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।
সারাবাংলা/একে