দ্রুত বাড়ছে যমুনার পানি, আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ
১৪ আগস্ট ২০২৩ ১৫:৩১
সিরাজগঞ্জ: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিন ধরে ভারি বর্ষণে বাড়ছে যমুনা নদীর পানি। এক সপ্তাহ ধরে যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে বিপৎসীমার মাত্র ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফলে সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলায় যমুনা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের অনেক বসতবাড়িতে পানি উঠছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা ও ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছেন নদীপাড়ের মানুষ। একইসঙ্গে তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি।
সোমবার (১৪ আগস্ট) সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৫৫ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে, কাজীপুরের মেঘাই পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৪.২৮ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যমুনার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার ৫ উপজেলার যমুনা অভ্যন্তরের চরাঞ্চলের গ্রামগুলোর ফসলের মাঠ প্লাবিত হয়ে বসতবাড়িতেও পানি উঠতে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধিতে কাজিপুর উপজেলার তেকানি, খাস রাজবাড়ি, চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া, শাহজাদপুরে জালালপুর অঞ্চলে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন।
সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়া মুন্সি বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চলের বসবাড়িতে পানি উঠতে শুরু করেছে। এ কারণে চরাঞ্চলের মানুষকে নিরাপদে সরে যেতে বলেছি। পানিবন্দিদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে কাজ করছি আমরা।’
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জিত কুমার সরকার জানান, কয়েকদিনের ভারি বর্ষণের ফলে এক সপ্তাহ ধরে যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি আরও কয়েকদিন বাড়বে। পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভারি বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান বলেন, ‘চলতি বছর সরকারিভাবে ৭৪০ মেট্রিক টন চাউল, নগদ ২০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, শিশুদের জন্য ২ লাখ টাকা ও গো-খাদ্যে ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। এখন পর্যন্ত বন্যাকবলিত মানুষদের তালিকা করা হয়নি, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। তালিকা হাতে পাওয়া মাত্রই বরাদ্দ দেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/এমও