Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জামিন পাননি মতিঝিল আইডিয়ালের গভর্নিং বডির সদস্য মুশতাক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৬ আগস্ট ২০২৩ ১৫:০৬

ঢাকা: ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদের জামিন আবেদন ফেরত দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১৬ আগস্ট) বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে, হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। আজ মুশতাক আহমেদের জামিন আবেদনটি তার আইনজীবী সোহরাব হোসেন পলাশ আদালতে শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন।

এ সময় আদালত খন্দকার মুশতাক আহমেদকে ডায়াসের সামনে ডেকে বলেন, ‘আপনি নৈতিকভাবে কাজটি ঠিক করেননি। এই জামিন আবেদন আমরা শুনব না।’ এরপর জামিন আবেদনটি তখনই আদালত ফেরত দেন।

এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, কলেজছাত্রীকে প্রলোভন ও জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে গত ১ আগস্ট রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে এ মামলার আবেদন করা হয়।

মামলার অন্য আসামি হলেন- মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী।

পরে আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন।

মামলার এজহারে বাদী উল্লেখ করেন, তার মেয়ে (ভুক্তভোগী) মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতেন এবং ভুক্তভোগীকে ক্লাস থেকে অধ্যক্ষের কক্ষে ডেকে আনতেন। খোঁজ-খবর নেওয়ার নামে আসামি ভুক্তভোগীকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করতেন। কিছুদিন পর আসামি মুশতাক ভুক্তভোগীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কু-প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেন।

বিজ্ঞাপন

ভুক্তভোগী এ রকম আচরণের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষকে (২ নম্বর আসামি) ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। তিনি (অধ্যক্ষ) ব্যবস্থা করতেছি বলে আসামি মুশতাককে তার রুমে নিয়ে আসেন এবং ভুক্তভোগীকেও ক্লাস থেকে নিয়ে এসে রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে আসামিকে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন।

এ বিষয়ে বাদী ২ নম্বর আসামির কাছে প্রতিকার চাইতে গেলেও কোনো সহযোগিতা করেননি বরং আসামি মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করে আসতে থাকেন। বাদী উপায় না পেয়ে গত ১২ জুন ভুক্তভোগীকে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে নিয়ে গেলে আসামি মুশতাক তার লোকজন দিয়ে ভিকটিমকে অপহরণ করে নিয়ে যান। এরপর বাদী জানতে পারেন আসামি ভিকটিমকে একেক দিন একেক স্থানে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছে এবং যৌন নিপীড়ন করছে।

সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর