স্কুলে মশার ওষুধ ছিটানোর পর অসুস্থ হয়ে ১০ শিক্ষার্থী হাসপাতালে
১৬ আগস্ট ২০২৩ ১৯:১১
নরসিংদী: নরসিংদীতে মশার ওষুধের বিষক্রিয়ায় ১০ শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়েছে। অসুস্থ হলেও তাদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ মিলেছে। বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে নরসিংদী বালিকা উচ্চ বিদ্যা নিকেতনে এই ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মশার ওষুধে অসুস্থ হওয়ার পর তাদের ক্লাসরুমে আটকে রাখা হয়। শিক্ষার্থীরা হৈ চৈ শুরু করলে পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পাশাপাশি বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে অক্সিজেনও দেওয়া হয়।
অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা হলো- ৭ম শ্রেণির নুসরাত, পুষ্পা, সোহানা ও ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী তামান্না, মুক্তা, সাদিয়া, অর্পিতা, তুলা, তুবা ও জান্নাত।
স্কুল সূত্রে জানা যায়, মশক নিধনের অংশ হিসেবে নরসিংদী পৌরসভার পক্ষ থেকে দুপুরে নরসিংদী বালিকা বিদ্যা নিকেতন, মহিলা কলেজ ও শিউলিবাক স্কুল প্রাঙ্গণে মশা মারার ওষুধ ছিটানো হয়। এসময় নরসিংদী বালিকা বিদ্যা নিকেতনে ক্লাস চলছিল। ওষুধ ছিটানোর কিছুক্ষণ পর স্কুলের ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির প্রায় ১০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরইমধ্যে কয়েক জন শিক্ষার্থীর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরে তাদের দ্রুত নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে তাদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
অসুস্থ হয়ে পড়া ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী তুবা জানান, ওষুধ দেওয়ার পরপরই আমার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। তখন স্যার আমাদের স্কুলের জানালা খুলে দিতে বলেন। আমরা বাইরে বের হতে চাইলে আমাদের ক্লাস থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি। পরে চিৎকার শুরু করলে অসুস্থ ছাত্রীদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক তুষার কান্তি ঘোষ বলেন, পৌরসভার পক্ষ থেকে স্কুলে মশা মারার ওষুধ দেওয়া হয়। এতে কয়েকজন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে গেলে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মশা মারার ওষুধ দেওয়ার বিষয়ে আমাদের পৌরসভা থেকে অবহিত করা হয়নি। তবে এখন সব শিক্ষার্থী ভালো এবং সুস্থ আছেন। সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে গেছে।
অসুস্থ হয়ে পরার পর শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আটকে রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ছাত্রীদের আটকে রাখা হয়নি। মশার ওষুধ ছিটানোর কারণে তাদের যেন তীব্র শ্বাসকষ্ট না হয় সে জন্য ক্লাসরুমের ভেতরে থাকতে বলা হয়েছিল।’
সারাবাংলা/এমও