সাঈদীর গায়েবানা জানাজা নিয়ে সংঘাত: ৬ মামলায় আসামি ১২ হাজার
১৬ আগস্ট ২০২৩ ২২:১৭
কক্সবাজার: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় কক্সবাজারের ৬টি মামলা হয়েছে। এই ৬ মামলায় ৪৬৭ জনের নাম উল্লেখসহ ১১ হাজার ৯০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে ৫টি এবং চকরিয়ায় নিহত মোহাম্মদ ফোরকানের স্ত্রী বাদি হয়ে একটি মামলা করেছেন।
পুলিশের দায়ের করা ৫টি মামলা বিশেষ ক্ষমতা আইন ও সরকারি কাছে বাধা দেওয়ার দায়ে এবং নিহতের স্ত্রীর মামলাটি হত্যা মামলা।
বুধবার (১৬ আগস্ট) রাত ৮ টায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম।
মাহাফুজুল বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকালে কক্সবাজার সরকারি কলেজের সামনের ইলিয়াস মিয়া স্কুলসংলগ্ন এলাকায় পুলিশের সাথে জামায়াতের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জানাজা শেষে ঘরে ফিরে যেতে বললে এই ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের উপর হামলা ও যানবাহন ভাঙচুর চালানো হয়।’
এ ঘটনায় বুধবার বিকালে কক্সবাজার সদর থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ২ হাজার ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। তবে এ মামলার বাদী ও আসামির নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি পুলিশ সুপার।
তবে কক্সবাজার সদর থানার একটি সূত্র জানিয়েছেন, কক্সবাজার সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ নেওয়াজ বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
এসপি মাহাফুজুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকালে একই ইস্যুতে চকরিয়ায় সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনায় পৃথক ৩টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে ২টি মামলা এবং অপর একটি মামলায় নিহত ফোরকানের স্ত্রী নুরুচ্ছফা বাদী হয়েছেন।’
পুলিশ বাদি হয়ে দায়ের করা মামলা ২টিতে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আড়াই হাজার করে মোট ৫ হাজার জনকে। তবে নিহতের স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় কারও নাম উল্লেখ নেই। ওই মামলায় আড়াই হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এসব মামলার ক্ষেত্রেও এসপি বাদী পুলিশের নাম প্রকাশ করেননি। তবে চকরিয়ার থানার সূত্র বলেছেন, এই ২টি মামলার বাদি উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আল ফোরকান।
এসপি জানান, বুধবার বিকালে পেকুয়ায় পুলিশের উপর হামলার ঘটনায়ও পুলিশ বাদী হয়ে ২ টি মামলা দায়ের করেছে। এতে ১৫১ জনের নাম উল্লেখ করে ১ হাজার ১০০ জন করে দু’টি মামলায় মোট ২ হাজার ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ওমর হায়দার জানিয়েছেন, পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে এই ২টি মামলা দায়ের করেন।
ওমর হায়দার বলেন, পেকুয়ায় দায়ের হওয়া মামলা ২টিতে প্রধান আসামি করা হয়েছে পেকুয়া সদর জামায়াতের আমির ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মঞ্জুকে। উল্লেখদের মধ্যে বারবাকিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাওলানা বদিউল আলম জিহাদি, পেকুয়া উপজেলা জামায়াতের আমির আবুল কালামের নাম রয়েছে মামলায়।
তবে এই ৬টি মামলায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার দেখায়নি পুলিশ।
সারাবাংলা/এমও