Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সর্বজনীন পেনশনের যুগে বাংলাদেশ, উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৭ আগস্ট ২০২৩ ১২:১৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছবি: পিএমও

ঢাকা: সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা-২০২৩’র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে দিয়ে সর্বজনীন পেনশন যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে এই পেনশন স্কিম চালু করল সরকার। আপাতত চার শ্রেণির জনগোষ্ঠীর জন্য চারটি স্কিম থাকছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১০টার পর গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এটির উদ্বোধন করেন। এসময় গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট ও রংপুর জেলা প্রশাসন এবং সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাসে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে মতবিনিময় করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রী মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার ও অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতেমা ইয়াসমিন। সার্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালার উপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

এর আগে, গত ১৪ আগস্ট এই বিধিমালা চূড়ান্ত করে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে চার শ্রেণিকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। সেখানে চাকরিজীবীদের জন্য চারটি পৃথক স্কিম রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে বিধিমালায় মোট ১৮টি ধারা রাখা হয়েছে।

সর্বজনীন পেনশন বিধিমালায় পৃথক চারটি স্কিম হলো— প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ‘প্রবাস স্কিম’, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য ‘প্রগতি স্কিম’, স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য ‘সুরক্ষা স্কিম’ ও স্বকর্মে নিয়োজিত স্বল্প আয়ের নাগরিকদের জন্য ‘সমতা স্কিম’।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, রংপুর, পাবনা, ময়মনসিংহ, সিলেট, বরগুনা, রাংগামাটি পার্বত্য জেলা, সৌদি আরবের জেদ্দা, মালয়েশিয়া ও সিংগাপুর প্রান্তে যুক্ত হয়ে ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম’র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছবি: পিএমও

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, রংপুর, পাবনা, ময়মনসিংহ, সিলেট, বরগুনা, রাংগামাটি পার্বত্য জেলা, সৌদি আরবের জেদ্দা, মালয়েশিয়া ও সিংগাপুর প্রান্তে যুক্ত হয়ে ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম’র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছবি: পিএমও

প্রবাস স্কিম: বিদেশে কর্মরত বা অবস্থানকারী যেকোনো বাংলাদেশি মাসিক ৫ হাজার, সাড়ে ৭ হাজার ও ১০ হাজার টাকা চাঁদার সমপরিমাণ অর্থ বৈদেশিক মুদ্রায় দিয়ে এই স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। প্রবাসী ব্যক্তি দেশে ফেরার পর সমপরিমাণ অর্থ দেশীয় মুদ্রায় পরিশোধ করতে পারবেন। প্রয়োজনে স্কিম পরিবর্তন করতে পারবেন। তবে, পেনশন স্কিমের মেয়াদ পূর্তিতে পেনশনার দেশীয় মুদ্রায় পেনশন প্রাপ্য হবেন।

বিজ্ঞাপন

প্রগতি স্কিম: বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোনো কর্মচারী বা প্রতিষ্ঠানের মালিক মাসিক ২ হাজার, ৩ হাজার ও ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে এই স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের এই স্কিমে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে স্কিমের চাঁদার ৫০ শতাংশ কর্মচারী এবং অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান দেবে। কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এই স্কিমে অংশ না নিলে, সেই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত যেকোনো কর্মচারী নিজ উদ্যোগে এককভাবে এই স্কিমে অংশ নিতে পারবেন।

সুরক্ষা স্কিম: অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিরা যেমন- কৃষক, রিকশাচালক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতি ইত্যাদি শ্রেণির ব্যক্তি মাসিক ১ হাজার, ২ হাজার, ৩ হাজার ও ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে এই স্কিমে অংশ নিতে পারবেন।

সমতা স্কিম: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক সময় সময় প্রকাশিত আয়সীমার ভিত্তিতে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী স্বল্প আয়ের ব্যক্তিরা (যাদের বর্তমান আয়সীমা বাৎসরিক অনূর্ধ্ব ৬০ হাজার টাকা) মাসিক ১ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে এই স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। এক হাজার টাকার মধ্যে চাঁদা দাতার ৫০০ টাকা ও সরকারি অংশ ৫০০ টাকা হবে।

প্রতিটি স্কিমের বিপরীতে উল্লিখিত পরিমাণ চাঁদা প্রদান সাপেক্ষে মাসিক পেনশনের (সম্ভাব্য) প্রাপ্যতা অর্জিত হবে।

এর আগে, গত ২৪ জানুয়ারি সব নাগরিককে পেনশনের আওতায় আনতে সংসদে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল-২০২৩’ পাস হয়। বিলে ১৮ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সী সব নাগরিকের নির্ধারিত হারে চাঁদা পরিশোধ করে ৬০ বছর পূর্তির পর আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করার বিধান রাখা হয়। আজীবন বলতে পেনশনারের বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত বিবেচনা করা হয়েছে।

সারাবাংলা/এনআর/এনএস

সর্বজনীন পেনশন স্কিম

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর