আশুলিয়ায় সিলিন্ডার লিকেজ থেকে আগুন, মৃত্যু বেড়ে ২
১৮ আগস্ট ২০২৩ ১৪:১৬
ঢাকা: ঢাকার আশুলিয়া এলাকার একটি টিনশেড বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে আগুনে দুই নারীসহ ছয়জন দগ্ধের ঘটনায় আরও একজন মারা গেছেন। মৃত নজরুল ইসলাম (৪৫) পেশায় ভ্যানচালক ছিলেন। ফলে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দুইজনে দাঁড়াল।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) নজরুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন শেখ হাসিনা জাতিয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম। এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, দগ্ধ নজরুলের শরীরের ৪৫ শতাংস দগ্ধ হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতে মারা গেছেন তিনি। বর্তমানে সাদেকুল ৫০ শতাংশ, হাশেম ৪৫ শতাংশ, কোমেলা বেগম ২০ শতাংশ, ও মহসিন ১০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন। গতকাল (বৃহস্পতিবার) ভোরে ৫০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মারা যান সাবিনা (৪০)।
এর আগে, গত শনিবার রাত ৮টার দিকে আশুলিয়া ধানসোনা ইউনিয়নের নতুননগর এলাকার একটি টিনসেড বাসায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। রাত আনুমানিক ২টার দিকে তাদের বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছিলেন— গার্মেন্টস কর্মী সাবিনা বেগম (৪০), প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া দোকানদার মহসিন হোসেন (২৭) ও তার মা কমলা বেগম (৫০), ভ্যানচালক নজরুল ইসলাম (৪৫), কারখানা কর্মচারী সাদেকুল (৩০) ও চাকরিজীবী মো. হাশেম মিয়া (৫০)।
তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা সাবিনার স্বামী মোতালেব হোসেন জানান, তারা ধানসোনা ইউনিয়নের নতুননগর এলাকার শফিকের সেমিপাকা টিনশেড বাড়িতে পাশাপাশি ঘরে ভাড়া থাকেন। গত শনিবার রাত ৮টার দিকে তিনি বাসায় ফিরছিলেন। বাসার কাছাকাছি আসলে বিকট একটি শব্দ শুনতে পান। তখন দৌড়ে বাসা গিয়ে দেখেন, তাদের ঘরসহ পাশের কয়েকটি ঘরে আগুন জ্বলছে এবং প্রচণ্ড ধোঁয়া বের হচ্ছে। পরে অন্য ভাড়াটিয়াদের সাহায্যে কয়েকটি ঘর থেকে ওই ছয়জনকে বের করে আনা হয়। পরে স্থানীয় হাসপাতাল নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের রাতেই বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
মোতালেব আরও জানান, সেমিপাকা টিনশেড ঘরগুলোতে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে রান্নার কাজ করেন সবাই। তবে ধারণা করা হচ্ছে, রান্না করার সসময় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
সারাবাংলা/এসএসআর/এনএস