‘খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকেই দায় নিতে হবে’
১৯ আগস্ট ২০২৩ ১৮:০০
ঢাকা: গুরুতর অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে, তার দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে পদযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার দাবিতে এই পদযাত্রার আয়োজন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া উপমহাদেশের শুধু নয়, গোটা এশিয়ার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তাকে বন্দি করা হয়েছে। এখনও তিনি বন্দি অবস্থায় আছেন। বর্তমানে তিনি অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে, উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় তার কিছু হয়ে গেলে, এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া গৃহবধূ থেকে রাজনীতিতে এসে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন। তিনি সারাদেশে হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতো, চারণ কবির মতো গণতন্ত্রের গান গেয়ে বেরিয়েছেন। তাকে থামিয়ে দিতে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। যেই দুই কোটি টাকার অভিযোগে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে সেই টাকা এখন ৮ কোটি টাকা হয়েছে। একই ধরনের মামলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতার বিরুদ্ধে হয়েছিল। তাদেরকে শুধু মুক্তি দেওয়া হয়নি, মামলাও তুলে নেওয়া হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এরা অসাংবিধানিক ও অবৈধ সরকার। তারা ১৫ বছর ধরে জনগণের কাঁধে চেপে বসে আছে। এরা এখন গণতন্ত্রের জন্য নাকি সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির তানভীর আহমেদ রবিন, উত্তর বিএনপির আমিনুল হকের পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান প্রমুখ।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আহমেদ আযম খান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আতাউর রহমান ঢালী, ডতযযসৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মীর সরফত আলী সপু, নাসির উদ্দিন অসীম, রকিবুল ইসলাম বকুল, ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, শিরিন সুলতানা, খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক, নিলোফার চৌধুরী মনি, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, নাজিমউদ্দিন আলম, রফিক সিকদার, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, ছাত্রদলের সাইফ মাহমুদ জুয়েল, পেশাজীবী নেতাদের মধ্যে কাদের গণি চৌধুরী, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, অধ্যাপক আবুল কালাম সরকার, অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. শেখ মনির উদ্দিন, অধ্যাপক আবদুল করিম, অধ্যাপক দেবাশীষ পাল, ড. মো. নূরুল আমিন, ডা. মো. আবদুস সালাম, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. মো. মেহেদী হাসানসহ অসংখ্য নেতাকর্মী।
বিকেল তিনটায় পদযাত্রা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টার পর থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তারা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আসোন এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি ও শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেন।
বিকেল সোয়া চারটার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে কাকরাইল মোড় ও শান্তিনগর মোড় হয়ে মালিবাগ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। একই দাবিতে আজ সারাদেশে মহানগর, জেলা উপজেলা পর্যায়ে পদযাত্রা করছে বিএনপি।
সারাবাংলা/এজেড/একে