ঢাকা: বিএনপি ও ছাত্রদলের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে রাজপথে শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে জনমনে ভীতি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল ছাত্রদলের ছয় নেতার। নাশকতার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতিকালে শনিবার (১৯ আগস্ট) লালবাগ থানা সংলগ্ন একটি বাসার তৃতীয় তলা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ওই বাসায় আভিযান চালায়।
রোববার (২০ আগস্ট) বেলা ২টার দিকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ও ডিবি-উত্তর) খোন্দকার নুরুন্নবী এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, গোয়েন্দা সংস্থার গুলশান বিভাগের একটি টিম শনিবার লালবাগ থানা সংলগ্ন ৩৮/১/এ নম্বর বাসার তৃতীয় তলায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তিনটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩৬ রাউন্ড গুলিসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার ছয়জন হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম ওরফে জিসান (৩১), বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফ বিল্লাহ (৩০), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো. হাসানুর রহমান ওরফে হাসান (৩২), ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহাদত হোসেন (৩১), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর (৩২) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আর রিয়াদ (২৯)।
খোন্দকার নুরুন্নবী বলেন, ‘মমিনুল ইসলাম ওরফে জিসান ও মোহাম্মদ আরিফ বিল্লাহর দেহ তল্লাশি করে বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।’
খোন্দকার নুরুন্নবী বলেন, ‘বিএনপি ও ছাত্রদলের হাইকমান্ডের নির্দেশে তারা অস্ত্র বহন করত। এদের উদ্দেশ্য ছিল জনমতে ভীতি সঞ্চার করা। পাশাপাশি তারা সরকার ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা করছিল।’
গ্রেফতার ছয়জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান যুগ্ম পুলিশ কমিশনার খোন্দকার নুরুন্নবী।