Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিএনপিকে রাজনৈতিক আন্দোলন ও নির্বাচনে পরাজিত করার আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২১ আগস্ট ২০২৩ ১৭:১৮

ঢাকা: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে সমুন্নত রাখতে বিএনপিসহ তার দোসর অপশক্তিকে বাংলার মাটিতে রুখতে হবে। রাজনৈতিক আন্দোলন ও নির্বাচনি লড়াইয়ে এদেরকে পরাজিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২১ আগস্টের নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভার স্বাগত বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে ২১ আগস্ট নিহত সকল শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে নিহতদের স্মরণে দোয়া ও মোনাজাত পাঠ করা করা। সভা পরিচালনা করছেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা কখনও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করি না, আমরা নিজেরাই ষড়যন্ত্রের শিকার হই। আমরা কাউকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছি এমন প্রমাণ বাংলাদেশের ইতিহাসে কেউ দেখাতে পারবে না। তারা (বিএনপি) বিদেশিদের বলে, আওয়ামী লীগ জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়। কিন্তু কীভাবে?’

বিএনপি নেতাদের একটি মিথ্যাচারের জবাব দিতে চান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা মিথ্যাচার করছে, আওয়ামী লীগ নাকি জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করছে…! দিবালোকে কেমন প্রহসনের নাটক! পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ড কে ঘটিয়েছে? বঙ্গবন্ধুর গোটা পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার টার্গেট কারা করেছিল? এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান। তার রাজনৈতিক ও ক্ষমতার উচ্চাভিলাষ পূর্ণ করতে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করেছেন।’

২১ শে আগস্টে অপারেশন শুরু করার নির্দেশ হাওয়া ভবনের তৎকালীন যুবরাজ তারেক রহমান দিয়েছিল দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা, অর্থ পাচারের অপরাধে দণ্ডিত জিয়াউর রহমান-বেগম জিয়ার সন্তান তারেক রহমান। যে কাপুরুষের মতো বিদেশে পলাতক অবস্থায় আছে। ফখরুল সাহেব আপনাদের পরবর্তীকালে স্বপ্নের প্রধানমন্ত্রী। তিনি অর্থ পাচারকারী। তিনি ২১ শে আগস্টের হত্যাকান্ডের মাস্টারমাইন্ড। তাহলে বলুন আমরা কাকে হত্যার চক্রান্ত করলাম?’

জিয়া পরিবারই বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার চক্রান্ত করেছে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘এই অপশক্তি খুনি, দুর্নীতিবাজ এই অর্থপাচারকারাী, এই ভোট চোর অপরাধী চক্রকে স্বাধীন বাংলাদেশে মাটিতে এদের কোনো অধিকার নেই। এই দেশ তারা চায় না। তাদের দেশ পাকিস্তান। তাদের দেশ আফগানিস্তান। বাংলাদেশ তাদের হৃদয়ে নেই। হৃদয়ে পাকিস্তান। বাংলাদেশ যদি তাদের হৃদয়ে থাকত আজকে এতো সব ঘটনা তারা ঘটাতে পারত না। হাজার হাজার আওয়ামী লীগ কর্মীর রক্তের দাগ আপনাদের হাতে, ফখরুল সাহেব লজ্জা করে না। কানাডার ফেডারেল আদালত পরপর ৫টা রায় দিয়েছে। বিএনপির সন্ত্রাসী রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছে, সেটাকে নাকচ করে দিয়েছে। কানাডার আদালত, আমরা না। তারপরও ভাল মানুষ সাজতে চান। মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি তাদের তালিকাতেও এই সন্ত্রাসীদের নাম আছে।’

এই সন্ত্রাসীদের হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ নয়। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ নিরাপদ নয়। এই সন্ত্রাসীদের হাতে  নির্বাচন নিরাপদ নয়। গণতন্ত্র নিরাপদ নয় বলে দাবি করে নেতাকর্মীদের তা মনে রাখার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

প্রসঙ্গত, ২১ আগস্ট বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের নৃশংস হত্যাযজ্ঞের কালো দিন। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নারকীয় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। ইতিহাসের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ১৯তম বার্ষিকী পালন করে আওয়ামী লীগ। তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মেয়াদে ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে তৎকালীন বিরোধীদলের সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।

সেদিন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে মূল টার্গেট করে হত্যার লক্ষ্যে হামলা চালানো হলেও অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি। দলীয় নেতাকর্মীরা মানবঢাল তৈরি করায় সেদিন প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেগম আইভি রহমানসহ দলের ২৪ নেতাকর্মী প্রাণ হারান। আহত হন বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীসহ আওয়ামী লীগের কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী। তাদের অনেকেই শরীরে এখনও স্পিন্টারের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন।

সারাবাংলা/এনআর/ইআ

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর