বঙ্গবন্ধুর উদারতায় কিছু যুদ্ধাপরাধী ছাড় পেয়েছিল: নাছির
২১ আগস্ট ২০২৩ ২১:৫৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু উদারতা দেখিয়েছিলেন বলে কিছু যুদ্ধাপরাধী ছাড় পেয়েছিল। তিনি ভেবেছিলেন ছাড় পেলে এরা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবেন। কিন্তু সেটা হয়নি। কারণ কুকুরের লেজ সবসময় বাঁকা থাকে।’
সোমবার (২১ আগস্ট) বিকেলে নগরীর জেলা পরিষদ চত্বরে নগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ বক্তব্য দিয়েছেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ১৯ বছর পূরণের দিনে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে আ জ ম নাছির উদ্দীন যুদ্ধাপরাধীদের প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘আমরা এদের বিরুদ্ধে রাজপথে আছি এবং লড়াই করে যাব। কারণ সাপের বিষ নামানো না হলে আবার ছোবল দেবে। ক্ষমতায় আছি বা না আছি এটা বড় কথা নয়, কিন্তু এই দেশকে একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তাদের মুরব্বিদের হাতে তুলে দিতে পারি না।’
গ্রেনেড হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্টের অসমাপ্ত অ্যাসাইনমেন্ট বাস্তবায়ন করতে তারেক জিয়া গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার মূল পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। এটি বিচারে প্রমাণিত সত্য। তারা আরেকটি ১৫ আগস্ট সৃষ্টি করতে চায়। তাদের পরাজিত করতে রাজপথে আওয়ামী লীগ লড়াই করেছে, করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।’
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘শেখ হাসিনা কমপক্ষে ২১ বার হত্যার টার্গেট হয়েছিলেন। আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে আছেন এবং তাকে বাঁচিয়ে রাখতেই হবে। আমরা কেউ দলের জন্য অপরিহার্য নয়, কিন্তু শেখ হাসিনা বাঙালি, বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগের জন্য অপরিহার্য।’
নগর কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, খোরশেদ আলম সুজন, জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংসদ নোমান আল মাহমুদ, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হাসান মাহমুদ শমসের, মোহাম্মদ হোসেন, আবু তাহের, নির্বাহী সদস্য পেয়ার মোহাম্মদ।
শ্রমিক লীগ
গ্রেনেড হামলার ১৯ বছর পূরণের দিনে চট্টগ্রাম নগরীর সিনেমা প্যালেস চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগ সিবিএ-ননসিবিএ সমন্বয় পরিষদ। সমাবেশ থেকে গ্রেনেড হামলায় সাজা পাওয়া তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার দাবি জানানো হয়।
শ্রমিকনেতা সাবের আহমদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব আবুল হোসেন আবু, মো. ইব্রাহিম, সিরাজুল ইসলাম, মো. ফোরকান, আকবর আলী শাহ, নার্গিস আক্তার, টিপু সুলতান, আবু আহমদ, জানে আলম, মোস্তাফিজ মিলন, আশীষ চৌধুরী, ইরফান চৌধুরী, মো. ফরিদ, আব্দুল লতিফ, নুর ইসলাম।
উত্তর জেলা যুবলীগ
গ্রেনেড হামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকরের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগ।
সোমবার বিকেলে নগরীর জেল রোডে আমানত শাহ মাজারে গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহানের পরিচালনায় সভায় সহ-সভাপতি দীপক কান্তি দত্ত, শহীদুল আলম, মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন, আব্দুল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বশর, মো. ফোরকান, অর্থ সম্পাদক মো. শাহজাহান, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন বক্তব্য রাখেন।
মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম-বৃহত্তর চট্টগ্রাম
গ্রেনেড হামলার ১৯ বছর পূরণের দিনে নগরীর আন্দরকিল্লার কার্যালয়ে আলোচনা সভা করেছে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম-বৃহত্তর চট্টগ্রাম। সভায় বক্তারা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলা ছিল গণতন্ত্র ধ্বংস ও মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার ন্যাক্কারজনক চক্রান্ত। পৃথিবীর ইতিহাসে একটি জনসমাবেশে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত বিধ্বংসী গ্রেনেড মারার মতো মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের কোনো উদাহরণ নেই।’
সংগঠনের সভাপতি আবদুল মালেক খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী, সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি সাইফুন নাহার খুশী, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, ফজলুল হক সিদ্দিকী, রাজীব চন্দ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন, মাহি আল জিসা, ইলিয়াস হায়দার, সাংগঠনিক সম্পাদক নবী হোসেন সালাউদ্দিন, প্রচার সম্পাদক জবরুত উল্লাহ, মহিলা সম্পাদক কোহিনুর আকতার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এস এম রাফি, সদস্য মিশু সেন, খোরশেদ আলম এবং সুমন দাশ।
সারাবাংলা/আরডি/এনইউ