শিগগিরই পারমাণবিক কেন্দ্রের পানি সাগরে ছাড়বে জাপান
২২ আগস্ট ২০২৩ ১৫:৩৬
এক যুগ আগে ভয়ংকর দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল জাপানের ফুকুশিমা-দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। পারমাণবিক কেন্দ্রকে শীতল করতে ব্যবহার করা হয় শীতল জল। দূষিত জল এত দিন পারমাণবিক কেন্দ্রেই রাখা ছিল। তবে পাঁচ শতাধিক অলিম্পিক সুইমিং পুলের সমান এই জল সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান। বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা এতে সম্মতি দেয়। শিগগিরই পারমাণবিক কেন্দ্রের দূষিত জল সমুদ্রে ছাড়তে যাচ্ছে জাপান।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এক ঘোষণায় জানান, বৃহস্পতিবারের (২৪ আগস্ট) মধ্যে সমুদ্রে পারমাণবিক কেন্দ্রের জল ছাড়া শুরু হবে।
এর আগে, সোমবার সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসা মৎস্য শিল্পের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেন কিশিদা। আলোচনার পর তিনি জানান, আবহাওয়া এবং সমুদ্র পরিস্থিতি ভালো থাকলে শিগগিরই সমুদ্রে পারমাণবিক কেন্দ্রের জল নির্গত করা হবে।
২০১১ সালে ভূমিকম্পের পর সুনামিতে ফুকুশিমা-দাইচি পারমাণবিক কেন্দ্র ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে সময় সুনামিতে পারমাণবিক কেন্দ্রটিতে পানি ঢুকে যায়। নিরাপত্তার জন্য পারমাণবিক কেন্দ্রের তিনটি চুল্লি গলিয়ে ফেলা হয়। ওই ঘটনায় ১৮০০ মানুষের মৃত্যু হয়।
উচ্চ তেজস্ক্রিয় চুল্লিগুলোর অবশিষ্টাংশ শীতল করতে ব্যবহৃত জল সংরক্ষণ করছে পারমাণবিক কেন্দ্রের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান টেপকো। এখন পর্যন্ত তারা প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টন জল সংরক্ষণ করেছে। পরে এসব জল থেকে সমস্ত দূষিত পদার্থ অপসারণ করা হয়েছে। যদিও পানি থেকে ট্রিটীয়াম অপসারণ করা যায়নি। কিন্তু অন্যান্য দূষিত পদার্থ অপসারণ করায় এই পানি বিপজ্জনক স্তরের অনেক নিচে বলে জানানো হয়েছে।
সারাবাংলা/আইই