‘গ্রেনেড হামলা নিয়ে মির্জা ফখরুল জঘন্য মিথ্যাচার করছে’
২২ আগস্ট ২০২৩ ১৪:৫৮
ঢাকা: ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জঘন্য, ন্যাক্কারজনক কুৎসিত, বীভৎস মিথ্যাচার করছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিলো মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরে মতো একটা লোক এমন জঘন্য, ন্যাক্কারজনক কুৎসিত, বীভৎস মিথ্যাচার করতে পারে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার মতো জঘন্য মিথ্যাচার করা এমন রাজনীতিবিদ আর নেই।’
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একুশে আগস্টের মতো একটি ঘটনাকে তিনি বলেছেন, গ্রেনেড হামলা সাজানো। আজ দিবালোকের মতো স্পষ্ট এ ঘটনা তারাই ঘটিয়েছে। আমি গ্রেনেড হামলার দুই দফা সাক্ষী।
‘বিএনপি মহাসচিব গ্রেনেড হামলা নিয়ে বলেছেন, যেখানে সমাবেশ করার কথা ছিলো আওয়ামী লীগ সেখানে করেনি। আসলে আমরা মুক্তাঙ্গনে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছিলাম, তা তারা দেয়নি। শেষ মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসের সামনে আমাদের মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়। তারা সমাবেশে গ্রেনেড ছোড়ার জন্য মুক্তাঙ্গনে অনুমতি দেয়নি, কারণ মুক্তাঙ্গনে গ্রেনেড ছোড়ার সুবিধা নেই। আমাদের পার্টি অফিসের চারপাশে অনেক ভবন, ওই সব ভবন থেকে গ্রেনেড ছোড়া যাবে। যে কারনে সেখানে তারা অনুমতি দিয়েছিলো। সমাবেশে সাধারণত বিভিন্ন ভবনে সাদা পোশাকে পুলিশ থাকে, ওদিন ছিলো না। একুশে আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে কোনো পুলিশ পাহারা ছিলোনা। পুলিশের পরিবর্তে সেখানে তারেক রহমান, তৎকালীন বিএনপি সরকার, জঙ্গিদের অবস্থান নিশ্চিত করেছে। সেখান থেকে গ্রেনেডগুলো ছোড়া হয়েছে’, বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশেরর ইতিহাসে এমন জঘন্য হত্যাকাণ্ড পঁচাত্তরের পর ফের ঘটলো। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং তার ছেলে তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ পরিচালনায় তখনকার বিরোধী দলের নেত্রী ও আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছিলো গ্রেনেড হামলা চালিয়ে।’
গ্রেনেড হামলার বিচার প্রসঙ্গে বলেন, ‘মামলার বিচার হয়েছে। এখন উচ্চ আদালতে আসামিরা আপিল করেছে। সে প্রক্রিয়া শেষ হলে শাস্তি কার্যকর হবে। তারেক জিয়াকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বৃটেনের সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি ডিল করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যা লিখছে তা তাদের বিশ্লেষণ। কিন্তু কথা সত্য শেখ হাসিনা নেতৃত্ব আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। তার নেতৃত্বে যেভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তবে কোন দল ক্ষমতায় থাকবে কী থাকবে না তা ঠিক করবে বাংলাদেশের জনগণ। পাশের দেশের এ নিয়ে চিন্তা থাকতেই পারে, সে চিন্তা থেকে পত্রিকায় লিখছে। ভারত কিংবা আমেরিকা, দুই দেশের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ক ভালো। আমরা চাই সংবিধানের আলোকে নির্বাচন হবে এবং সেখানে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশ নেবে।’
সারাবাংলা/জেআর/এমও