Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা: ৪ মন্ত্রণালয় ও এনবিআরকে ডেকেছে ইসি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২২ আগস্ট ২০২৩ ১৫:৪৫

ঢাকা: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা যুগোপযোগী করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চার মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ইসি।

বুধবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, আইন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং এনবিআরের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।

বিজ্ঞাপন

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিদ্যমান বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা হালনাগাদ করার লক্ষ্যে বুধবার (২৩ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডাকা হয়েছে। তাতে পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, আইন, তথ্য ও সম্প্রচার এবং এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকটি ইসি সচিবালয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে।

অতিরিক্ত সচিব আরও বলেন, ইতোমধ্যে ইইউ প্রতিনিধিরা কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে পর্যবেক্ষকদের কিছু যন্ত্রপাতি আনা এবং ট্যাক্স সংক্রান্ত বিষয়ে সুপারিশ করেছে। সে ক্ষেত্রে তাদের সুবিধার্থে নীতিমালায় কী যুক্ত করা যায় এই জন্য চারটি মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি এনবিআর কে বৈঠকে ডাকা হয়েছে। এছাড়া, আবেদনের প্রক্রিয়া কবে নাগাদ শুরু করা যায়, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা হবে।

জানা গেছে, বুধবারের বৈঠকে মূলত বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় মতামত নেবে ইসি। বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা যুগোপযোগী করার পাশাপাশি বিদেশি পর্যবেক্ষকদের যন্ত্রপাতি আনা ও কর অব্যাহতির বিষয় নিয়েও আলোচনা হবে সভায়।

বিজ্ঞাপন

ইসি সূত্র জানায়, ইসির আন্ত:মন্ত্রণালয়ের সভায় ভোট পর্যবেক্ষণে আসার বিদেশিদের আবেদন সীমা, প্রয়োজনীয় কারিগরি সুযোগ-সুবিধা ও প্রাক নির্বাচনী একটি প্রতিনিধি দলের সুপারিশ পর্যালোচনা করে নীতিমালা হালনাগাদের বিষয় আলোচনা করা হবে। ইতোমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচনী প্রাক অনুসন্ধানী প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আগামী অক্টোবরে মার্কিন প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ দল আসছে। এস নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হবে।

এদিকে, আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ইইউর ‘যত খুশি তত নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক’ পাঠানোকে স্বাগত জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন এলে সুবিধা হয়। কারণ, আরও কিছু ফরমালিটিজ রয়েছে। স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্লিয়ারেন্সের বিষয় রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র কোন পর্যবেক্ষক পাঠায়নি। একাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে ৮১টি দেশি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠানের ২৫ হাজার ৯০০ জন প্রতিনিধি। এছাড়া, ৩৮ জন (ফেমবোসা, এএইএ, ওআইসি ও কমনওয়েল্থ থেকে আমন্ত্রিত) বিদেশি পর্যবেক্ষক, বিভিন্ন বিদেশি মিশনের ৬৪ জন কর্মকর্তা এবং দূতাবাস ও বিদেশি সংস্থায় কর্মরত ৬১ জন ভোট পর্যবেক্ষণ করে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে সব দল অংশ না নেওয়ায় পর্যবেক্ষকও কম ছিল। ওই নির্বাচনে মাত্র ৪ জন বিদেশি এবং স্থানীয় ৩৫টি সংস্থার ৮ হাজার ৮৭৪ জন ভোট পর্যবেক্ষণ করেন। ২০০৮ সালে ৫৯৩ জন বিদেশি এবং ১ লাখ ৫৯ হাজার ১১৩ জন দেশি, ২০০১ সালে ২২৫ জন বিদেশি এবং ২ লাখ ১৮ হাজার জন দেশি, ১৯৯৬ সালে প্রায় ৪০ হাজার দেশি এবং ২৬৫ জন বিদেশি, ১৯৯১ সালে ৩০ হাজার দেশি এবং ৫৯ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক ভোট পর্যবেক্ষণ করেন।

সারাবাংলা/জিএস/এনইউ

ইসি টপ নিউজ নীতিমালা বিদেশি পর্যবেক্ষক

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর