অটোরিকশা চুরি করতে হত্যা, ২১ দিন পর চালকের লাশ উদ্ধার
২৪ আগস্ট ২০২৩ ২১:৩৭
কুষ্টিয়া: জেলার সদর উপজেলার জগতি এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়ার ২১ দিন পর মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় নাজির আহাম্মেদ হিরু নামের এক অটোচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অটোরিকশা চুরি করার উদ্দেশ্যে তাকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৪আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে শহরের বাণী সিনেমা হলের পিছনের একটি আমবাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত নাজির আহাম্মেদ হিরু সদর উপজেলার জগতি এলাকার বশির উদ্দিন মাস্টারের ছেলে।
জানা গেছে, গত ৩ আগস্ট দুপুরের খাওয়া শেষ করে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন হিরু। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরে হিরুর নিখোঁজের বিষয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করা হয়। এছাড়া তার সন্ধান চেয়ে সাংবাদ সম্মেলন করে পরিবার।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) পলাশ কান্তি নাথ জানান, হিরু নিখোঁজের পর শহরের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালচনা করে। এরপর প্রযুক্তির সহযোগিতায় এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এনএস রোড থেকে তুষার নামের এক যুবককে আটক করে পুলিশ। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হিরুকে হত্যা এবং তার লাশ গুমের উদ্দেশ্যে মাটিচাপা দেওয়ার কথা স্বীকার করে তুষার।
তুষারের বরাত তিনি আরও জানান, গত ৩ আগস্ট শহরের বানী হল এলাকা থেকে মালামাল বহনের কথা বলে হিরুর অটোরিকশা ঠিক করেন তুষারের বোনের স্বামী এবং বারখাদা এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে জনি (২৮)। পরে জনির ভাড়ার বাসা থেকে মালামাল নেওয়ার কথা বলে তাকে বাসায় নিয়ে যায় জনি। সেখানে জনি এবং তুষার মিলে গলায় ফাঁস দিয়ে হিরুকে হত্যা করেন তারা। পরে হিরুর অটোরিকশা নিয়ে পাবনায় ৬৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন তারা। পরে পাবনা থেকে ফিরে হিরুর লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে ওই আমবাগানে মাটিচাপা দেয় দুইজন। পরে তুষারের দেখিয়ে দেওয়া জায়গা থেকে হিরুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে হিরুর পরিবার।
সারাবাংলা/এনএস