Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘উন্নয়ন পরিকল্পনায় নদীসহ পরিবেশ সুরক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৬ আগস্ট ২০২৩ ২১:৪৪

ঢাকা: উন্নয়ন পরিকল্পনায় নদীসহ পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল। তিনি বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি মনুষ্য সৃষ্ট নানা কারণে আমাদের পরিবেশ-প্রতিবেশ হুমকির মুখে। অথচ সরকারি-বেসরকারি উন্নয়ন পরিকল্পনায় নদীসহ পরিবেশের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। উপকূলের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় সুনির্দ্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও তা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের আহ্বান জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৬ আগস্ট) গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য ‘পরিবেশ ও উপকূল’ বিষয়ক দু’দিনের অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন। ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এবং সুন্দরবন ও পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র।

আলোচনায় অংশ নেন বাপা’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মো. নূর আলম শেখ, একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক পলাশ আহসান, ওয়াটারকিপার্সের গবেষণা ব্যবস্থাপক ইকবাল ফারুক, কোস্টাল ভয়েজের সাধারণ সম্পাদক কৌশিক দে, ডিইউজে’র সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাকিলা পারভীন, পরিবেশকর্মী মেজবাহ উদ্দিন মান্নু ও ফটোসাংবাদিক আরিফুর রহমান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে শরীফ জামিল আরও বলেন, ‘পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে ইলিশের আবাসস্থল সাগরের দিকে চলে যাচ্ছে। জেলেরা নদীতে মাছ পাচ্ছে না। খাল ও স্লুইচ গেট আটকে দিয়ে মিল-কারখানাসহ অবকাঠামো নির্মাণের কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। অপরিকল্পিত শিল্পায়নের কারণে হুমকির মুখে নদ-নদী ও জীববৈচিত্র্য। আবার জলবায়ু পরিবর্তনসহ পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে সাধারণ মানুষ জীবিকা হারিয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে।’ টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সুন্দরবনসহ উপকূলের পরিবেশ রক্ষায় আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরে বাপা নেতা নূর আলম শেখ বলেন, ‘নদ-নদী ও জলাশয় দখল ও দূষণের শিকার হচ্ছে। জলবায়ুর পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে সুন্দরবনসহ উপকূলের পরিবেশ হুমকির মুখে। এরপর রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা বন্দরসহ অপরিকল্পিক শিল্পায়ন এই হুমকি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। সাংবাদিকরা যখন বিয়ষগুলো গণমাধ্যমে তুলে ধরেন তখন আন্দোলনে নতুন গতি আসে। নীতি-নির্ধারকদের আন্দোলনের বিষয়ে দৃষ্টি দিতে বাধ্য করে।’ সাংবাদিক ও নাগরিকদের ঐক্যের মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষার আন্দোলন জোরদার করা সম্ভব বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, উপকূলের সব জেলা ও উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় দফা ২৭ জন সাংবাদিক অংশ নিচ্ছেন।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম

উন্নয়ন পরিকল্পনা নদী পরিবেশ সুরক্ষা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর