Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মাওলানা ফারুকী হত্যা: ৯ বছরেও শেষ হয়নি মামলার তদন্ত

আরিফুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৮ আগস্ট ২০২৩ ০৮:৪৩

ঢাকা: ২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট রাত ৯টার দিকে ১৭৪ পূর্ব রাজাবাজারের দোতলা বাসার বেসরকারি টেলিভিশন ‘চ্যানেল আই’য়ের ইসলামিক অনুষ্ঠানের উপস্থাপক নুরুল ইসলাম ফারুকী কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তার ছেলে ফয়সাল ফারুকী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার দায়েরের ৯ বছর পার হলেও এখনও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি সিআইডি।

সর্বশেষ গত ২৫ জুলাই মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু ওইদিন মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত আজ ২৮ আগস্ট প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।

এখন পর্যন্ত তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৬২ বার সময় নিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ সুপার কাশেম খান বলেন, ‘তদন্ত শেষের দিকে। ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তাড়াতাড়ি মামলার চার্জশিট দিয়ে দিবো। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আদালতে চার্জশিট জমা দিবো।’

কত জন ঘটনার সঙ্গে জড়িত এমন প্রশ্নে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা এখন বলতে চাচ্ছি না। পরে আপনরা সব কিছুই জানতে পারবেন।’

নুরুল ইসলাম ফারুকীর ছেলে ছেলে ফয়সাল ফারুকী বলেন, ‘বাবা খুন হয়েছেন ৯ বছর হয়ে গেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত মামলার তদন্তই শেষ হলো না। থানা পুলিশ, ডিবির হাত ঘুরে এখন মামলার তদন্তে আছে সিআইডি। একের পর এক তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হচ্ছেন, কিন্তু তদন্ত শেষ হচ্ছে না। আমরা পুরো পরিবার হতাশ। এটা নিয়ে ব্যথিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘সিআইডি এখনও চেষ্টা করে যাচ্ছে মামলার তদন্ত শেষ করতে। আমরা চাচ্ছি বিষয়টা শেষ হয়ে যাক। এখন পর্যন্ত বাবাকে কেন খুন করা হলো তা জানতে পারলাম না। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা হবে। পুরো পরিবার প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে আছি। প্রধানমন্ত্রী যদি এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতেন তাহলে হয়তো আমরা মামলার বিচার পেতাম।’

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট সন্ধ্যায় ৭টার সময় নূরুল ইসলাম ফারুকী (৫০) বাসায় অবস্থান থাকাকালীন কতিপয় ব্যক্তি বাসার কলিং বেলে চাপ দেয়। এসময় দু’জন লোক ফারুকীর সঙ্গে ড্রয়িং রুমে বসে। আরও ২০ মিনিট পর আরও ৬/৭ জন লোক এসে বাসার অন্যদের বেঁধে রেখে মাওলানা ফারুকীকে হত্যা করে এবং বাসায় লুটপাট চালায়।

মামলায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিরা হলেন, হাদিসুর রহমান সাগর, আবু রায়হান, আব্দুল গফ্ফার, মিঠু প্রধান, খোরশেদ আলম, রিয়াজ ওরফে ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজ, তারিকুল ইসলাম ওরফে মিঠু, কাজী মো. ইব্রাহিম, জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজিব গান্ধী, জাহিদুল ইসলাম সোহাগ, বাপ্পী মিয়া, আব্দুল্লাহ আল তাসনিম, রাইসুল ইসলাম, খোরশেদ আলম, ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজ, তরিকুল ইসলাম, আলেক ব্যাপারী, মোস্তফা আহমেদ ও মোজাফ্ফর হোসেন ওরফে সাঈদ।

উল্লেখ্য, নুরুল ইসলাম ফারুকী চ্যানেল আইয়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ‘কাফেলা’ ও ‘শান্তির পথে’ এবং মাই টিভির লাইভ অনুষ্ঠান ‘সত্যের সন্ধান’ উপস্থাপনা করতেন। এছাড়া তিনি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পাদক এবং সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদের খতিবও ছিলেন।

সারাবাংলা/এআই/এমও

মাওলানা ফারুকী হত্যা মামলার তদন্ত


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর