সাবেক ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান আর নেই
২৮ আগস্ট ২০২৩ ০৯:৩০
ময়মনসিংহ: মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। রোববার (২৭ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে নগরীর ধোপাখলা নেক্সাস কার্ডিয়াক হাসপাতালে মারা যান তিনি।
মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে গত বছর একুশে পদক পান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, স্বৈরাচারবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম এই নেতা। ময়মনসিংহের মাটি ও মানুষের নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমানের বয়স হয়েছিল প্রায় ৮১ বছর।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, তিন মেয়ে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী স্বজন রেখে গেছেন।
প্রবীণ এই সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ১৯৪২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া গ্রামের এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আবদুর রেজ্জাক এবং মায়ের নাম মেহেরুন্নেসা খাতুন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক প্রবীণ রাজনীতিক আকুয়া মডেল প্রাইমারি স্কুল থেকে ১৯৫৩ সালে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন। ১৯৫৮ সালে মেট্রিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে ১৯৬১ সালে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর ১৯৬৪ সালে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এ সময় তিনি গফরগাঁও থানার পাঁচবাগ উচ্চ বিদ্যালয় এবং মনোহরদি হাতিরদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে বিএসসি শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৬৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে ভর্তি হয়ে ১৯৬৭ সালে এমএসসি শেষ করেন। এমএসসি পাশের পর তিনি জামালপুর জেলার নান্দিনা কলেজ এবং ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজে প্রাণিবিদ্যার শিক্ষক হিসেবে চাকরি করেন। তিনি স্বল্পকালীন সময়ের জন্য ময়মনসিংহ কলেজেও শিক্ষকতা করেন।
অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ও মিত্র বাহিনী সানথ শিং বাবাজীর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহকে মুক্ত ঘোষণা করেন।
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে হাজারো নেতাকর্মী, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক- সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও সব শ্রেণিপেশার মানুষ হাসপাতালে ভিড় জমান। বর্ষীয়ান এই নেতার মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ছুটে আসেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদ চেযারম্যান, আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সারাবাংলা/এমও
