Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে একদিনে আরও ১৮ মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৯ আগস্ট ২০২৩ ০০:২৮

ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি

ঢাকা: গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আরও ১৮টি মামলা হয়েছে শ্রম আদালতে। কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী লভ্যাংশের ৫ শতাংশ হারে পাওনা পরিশোধ না করার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ১৮ জন শ্রমিক এই মামলা করেছেন।

সোমবার (২৮ আগস্ট) ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে শ্রমিকরা আলাদা আলাদা মামলা করেন। ড. ইউনূসের আইনজীবী সারাবাংলাকে মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১৬ অক্টোবর আদালত ড. ইউনূসকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের মুনাফার অর্থ চেয়ে ১৮ জন শ্রমিক বাদী হয়ে আলাদাভাবে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ১৮টি সিভিল (দেওয়ানি) মামলা করেছেন। মামলায় গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও এর ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) বিবাদী করা হয়েছে। তাদের আগামী ১৬ অক্টোবর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত এ আদেশ দেন।

আরও পড়ুন- ড. ইউনূসের বিচার স্থগিত চান ১৬০ বিশ্বনেতা, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি

ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ জানান, এসব মামলায় গ্রামীণ ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড কোম্পানি এবং শ্রমিক ফেডারেশনের মহাপরিচালককেও (ডিজি) মোকাবিলা বিবাদী করা হয়েছে।

শ্রম আদালত সূত্রে জানা গেছে, মোট ২১ কোটি ৪১ লাখ ১৭ হাজার ১৬৩ টাকা পাওনা পরিশোধ না করায় শ্রম আইন ২০০৬-এর ২১৩ ধারা লঙ্ঘিত হওয়ার অভিযোগ এনে শ্রমিকরা মামলাগুলো করেন।

এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. মুহম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

বিজ্ঞাপন

ওই মামলা নিয়ে শ্রম আদালত ও উচ্চ আদালতে গত দুই বছর ধরে নানা প্রক্রিয়া চলেছে। ড. ইউনূসের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট মামলাটির বিচার প্রক্রিয়া স্থগিত করেছিলেন। সর্বশেষ গত ২০ আগস্ট শ্রম আইন লঙ্ঘনের ওই মামলায় অভিযোগ গঠন বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। ফলে শ্রম আদালতে এ মামলার বিচার চলবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

সারাবাংলা/কেআইএফ/টিআর

ড. ইউনূস ড. মুহাম্মদ ইউনূস শ্রম আইন লঙ্ঘন শ্রম আদালত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর