কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগে প্রকাশ্যে কচি-বজলুর বিতণ্ডা
২৯ আগস্ট ২০২৩ ০১:১৪
ঢাকা: কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে প্রতিনিধি সভায় প্রকাশ্যে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। দুই নেতার বিতণ্ডায় সভায় উপস্থিত নেতারা হতচকিত হয়ে পড়েন। তাদের দুজনের অনুসারীরা পাল্টাপাল্টি স্লোগানও দিতে থাকেন। এতে হলরুমে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের তেজগাঁও কার্যালয়ে প্রতিনিধি সভায় এ ঘটনা ঘটে। কমিটির শীর্ষ দুই নেতার মধ্যে বিতণ্ডা চলে প্রায় ২০ মিনিট ধরে। পরে উপস্থিত নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সারাবাংলার কাছে এ বাগবিতণ্ডার ঘটনা স্বীকার করেছেন। তারা জানান, সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি সভাস্থল ত্যাগ করার পর এ ঘটনা।
সভায় উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, প্রতিনিধি সভা চলাকালে হঠাৎ শেখ বজলুর রহমান ও এস এম মান্নান কচির মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এ সময় সাধারণ সম্পাদক কচি সভাপতি বজলুরের উদ্দেশে বলে ওঠেন, ‘আপনি তো কমিটিতে বাণিজ্য করার জন্য লোক রেখে দিয়েছেন। আপনার লোক দিয়ে কমিটি বাণিজ্য করাচ্ছেন।’
দলীয় সূত্র বলছে, এস এম মান্নান কচি মূলত সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের অনুগত একজন সাংগঠনিক সম্পাদককে ইঙ্গিত করে কথাগুলো বলেন। তিনি একপর্যায়ে সেই নেতার নাম ধরে সভাপতি তাকে দিয়ে কমিটি বাণিজ্য করেছেন বলে সরাসরি অভিযোগ তোলেন।
সাধারণ সম্পাদকের এমন প্রকাশ্য অভিযোগের জবাবে সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, ‘আপনি তো কমিটিতে মাস্তান রেখে দিয়েছেন মাস্তানি করার জন্য।’
পরে কচি সভাপতির উদ্দেশে আরও বলেন, ‘আপনি তো আপনার বউকেও কমিটি বাণিজ্যে নামিয়েছেন। কাফরুলে একজনকে নেতা বানিয়েছেন। সে তো নেতার হওয়ার পর থেকে লাপাত্তা। কোনো প্রোগ্রামে আসেন না। সব বিষয়ে জানি।’
এ পর্যায়ে দুই নেতাই উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তাদের দুজনের মধ্যেই আরও কিছুক্ষণ উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। সে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে তাদের সমর্থক-অনুসারীদের মধ্যেও। তারা পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে থাকেন নিজ নিজ নেতার পক্ষে। পরে উপস্থিত নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
সভায় ঢাকা মহানগরের উত্তরের অধীন প্রতিটি থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ৩০ আগস্ট ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যৌথ আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভার কার্ড বিতরণ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এই প্রতিনিধি সভা আহবান করেছিল। সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষ করে সভাস্থল ত্যাগ করার পর কার্ড বিতরণের সময় এই বাগবিতণ্ডায় জড়ান মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দুই শীর্ষ নেতা।
সারাবাংলা/এনআর/টিআর
আওয়ামী লীগ এস এম মান্নান কচি ঢাকা উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগ শেখ বজলুর রহমান