Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাদেশে ক্রিপটোকারেন্সি অবৈধ—ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৯ আগস্ট ২০২৩ ১৭:০৯

ঢাকা: ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, একটি বিষয় স্পষ্ট যে ক্রিপটোকারেন্সি বাংলাদেশে বৈধ নয়। কেউ যদি এটিতে লেনদেন করে থাকেন, সেটা সম্পূর্ণ অবৈধ।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত অনলাইনের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণা এবং অবৈধ আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বৈঠক শেষে এ কথা বলেন মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।

তিনি আরও বলেন, যখনই মুদ্রার প্রশ্ন আসে, এটির সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কারেন্সির আসা-যাওয়া থেকে শুরু করে লেনদেনসহ যাবতীয় বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে। তবে আমরা যারা ডিজিটাল দুনিয়াতে কাজ করি, এটা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ আছে।

তিনি বলেন, ক্রিপটোকারেন্সি আসার পর থেকে অনেকেই প্রশ্ন করেন, আপনারা কী করেছেন? এটির বিষয়ে একটু বোঝার চেষ্টা করেন, ডিজিটাল দুনিয়াতে একটা অ্যাপ চলা, এটা এমন কিছু ঘটনা না যে আমি চট করে অ্যাপ চলছে, আমি তাতে সমস্ত মনোযোগ দিয়ে বসে থাকব। আপনারা জেনে অবাক হবেন, গতকাল বা আগের দিন পুলিশের কাছে কিছু অভিযোগ এসেছে। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত তো কোনো অভিযোগ আসেনি। যে কোনো বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার দরকার পড়লে প্রথমে থাকতে হবে অভিযোগ, তারপর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশ্ন আসে।

মন্ত্রী বলেন, একটা চ্যালেঞ্জ হলো, এটি আমাদের ফিজিক্যাল (বাস্তব) দুনিয়ার মতো না যে, অপরাধ হচ্ছে, সেই অপরাধ কেবল আমার সীমার মধ্যেই হচ্ছে এবং ভৌগোলিকভাবে আমরা চিহ্নিত করতে পারছি। যে অপরাধের কথা বলেন, আপনারা, তা বাংলাদেশের ভিতর থেকে হয়নি। আবার বাংলাদেশের লোকজন তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অ্যাপটি যদি দুবাইতেও চলে থাকে, কিন্তু যারা টাকা দিয়েছে বা অংশগ্রহণ করেছে, বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য জায়গা থেকে করেছে। এটা তো ডিজিটাল দুনিয়ার স্বাভাবিক নিয়ম। কে কোথায় আছেন, এটা সম্পর্কিত বিষয় না। লেনদেন করা দরকার, তারা তা করতে পারছে। সেদিক থেকে আমরা যেটা বুঝি, এটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ, তাদের কাছে অভিযোগ এসেছে বলে আমরা জানি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করছে। কিছু গ্রেফতার হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে। এ সম্পর্কে যা যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার…আমরা জেনেছি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বিজ্ঞাপন

প্রতারণার মাধ্যমে অবৈধ লেনদেনের মোট পরিমাণ কতো- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে মিডিয়াতে যা দেখেছেন, তার সবাই আন্দাজ। প্রকৃত তথ্য আমার কাছে পাওয়ার কথা না। আর্থিক বিষয়গুলোর তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে। সিআইডি, এসবি, বিটিআরসি, বাংলাদেশ ব্যাংক সবারই এ বিষয়টি প্রতিরোধের একটি অপশন থাকা উচিত।

তিনি বলেন, এমটিএফই নিয়ে কোনো কিছু আমরা জানতাম না। মিডিয়াও জানত না। ফেসবুক দেশে অনুমোদন নিয়ে ব্যবসা করে না। কোন সোশ্যাল মিডিয়াগুলো বাইরে থেকে চলায়। ফেসবুককে হুকুম মানানো কঠিন। বন্ধও করা যায় না। ফেসবুকের সাথে সাপ মরে লাঠিও না ভাঙ্গে এমন ব্যবস্থা নেবে সরকার।

সারাবাংলা/জেআর/আইই

বিজ্ঞাপন

সিইসি ও ৪ কমিশনারের শপথ আজ
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ০১:৩৩

আরো

সম্পর্কিত খবর