জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কী চায়: প্রধানমন্ত্রী
২৯ আগস্ট ২০২৩ ১৭:২৯
ঢাকা: দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ ও মতদ্বৈততা থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কেউ কেউ অনিশ্চিত পরিস্থিতি দেখছেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভবিষ্যতের কথা কেউ বলতে পারে না। আর দেশ কীভাবে চলবে, তার সিদ্ধান্ত জনগণকেই নিতে হবে। জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কী চায়।
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফিরে মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক বলেন, নির্বাচন নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলগুলোর মতবিরোধ, বিভিন্ন দেশের সক্রিয় তৎপরতা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা কাজ করছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। তাদের সবার প্রশ্ন কী হবে? সাধারণ মানুষের কাছ থেকে শোনা এ প্রশ্নটিই করা হয় প্রধানমন্ত্রীকে।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কেবল মেগা প্রকল্প উদ্বোধন করছি না, খাদ্য উৎপাদনেও তো দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছি। মাছ, সবজি কোনটার অভাব আছে? ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট, ব্রিজ- এগুলো কাদের জন্য? জনগণই তো এগুলোর সুফল ভোগ করে। আগে যেখানে দুই-তিন ঘণ্টা বসে থাকতে হতো, মেট্রোরেলের কল্যাণে এখন সেই পথ ১০ মিনিটে পাড়ি দেওয়া যাচ্ছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করা হবে। এগুলো কার কাজে লাগে? জনগণের স্বার্থেই তো সবকিছু করা।’
শেখ হাসিনা বলেন, `কিছু লোক থাকবেই যাদের কিছুই ভালো লাগে না। আপনারা আশা করেন কীভাবে যে সবাই একরকম হবে এবং একসঙ্গে পথ চলবে? একটি দল আছে, তারা দেশ চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের তো মনোবেদনা থাকবেই। তাদের কাছে তো সবকিছুই খারাপ লাগবে। তাদের নিয়ে তো কিছু বলার নেই।’
আওয়ামী লীগ টানা দেড় দশক ক্ষমতায় থাকাকালে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা জনগণের জন্য কাজ করি। ১৫ বছর আগে দেশের অবস্থায় কোথায় ছিল আর আজ কোথায় আছে? এত দ্রুত সময়ে এত পরিবর্তন আনা কি সহজ কাজ? আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই এই পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে। কারণ আমাদের আদর্শ আছে, নীতিমালা আছে, কর্মপরিকল্পনা আছে। এখন কী করব তাই শুধু নয়, সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা আছে আমাদের। সেই পরিকল্পনা আছে বলেই ক্ষমতায় এলেই আমরা কাজ করে যাই। এখন জনগণ চাইলে আমাদের ভোট দেবে। না চাইলে দেবে না। সিদ্ধান্ত জনগণকেই নিতে হবে।’
সারাবাংলা/এনআর/টিআর