Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বাংলাদেশ কিছু চেয়ে পাবে না সেই অবস্থা আর নাই’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৯ আগস্ট ২০২৩ ১৯:১৯

ঢাকা: ব্রিকসের সদস্যপদ না পাওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ কিছু চেয়ে পাবে না এটা সেই অবস্থাটা কিন্তু আর নাই। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে মর্যাদাটা তুলে ধরেছি সেখানে আমাদের সেই সুযোগটা আছে।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকালে গণভবনে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানসবার্গে ১৫তম ব্রিকস সম্মেলনের সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

শুরুতে সফর নিয়ে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর দুই পাশে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিকসের সদস্য পদ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চাইলে পাব না সে অবস্থাটা আর নাই। কিন্তু প্রতিটি কাজেরই একটা নিয়ম থাকে। আমরা সেই নিয়ম মেনেই চলি। আমার সঙ্গে যখন সাউথ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ হলো, তিনি আমাকে আমন্ত্রণ জানালেন এবং সেই সময় জানালেন তারা কিছু সদস্য পদও বাড়াবেন। ওই সময় আমার মতামতও জানতে চাইলেন। আমি বললাম যে, এটা খুবই ভালো হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ব্রিকস যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন থেকে এই পাঁচটা দেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে আমার ভালো যোগাযোগ সবসময় ছিল এবং আছে। আমরা যখন শুনলাম যে, নিউ ডেভলপমেন্ট ব্যাংক হচ্ছে, ওইটার উপরেই আমাদের বেশি আগ্রহ ছিল। সেখানে আমরা যুক্ত হতে চেয়েছিলাম। যখন তৈরি হয় তখন থেকেই আমার আগ্রহ ছিল আমরা যুক্ত হব। ব্রিকসের সদস্য নিয়ে প্রেসিডেন্ট আমাকে তখনই বলেছেন তারা ধাপে ধাপে নেবেন। ভৌগোলিক অবস্থানটা বিবেচনা করে দেশগুলোকে নেবেন। পর্যায়ক্রমে সদস্য সংখ্যা বাড়াবেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ, নিলে আমরা খুব খুশি। কিন্তু আমরা ব্রিকসের সদস্যপদ প্রথম পর্যায়েই পেয়ে যাব সে ধরনের কোনো চিন্তা আমাদের মাথায় ছিলও না। সেরকম কোনো চেষ্টাও কিন্তু করিনি, কাউকে বলিওনি।’

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘ওখানে আমার সব রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে দেখা হয়েছে। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট, ইন্ডিয়ার প্রাইম মিনিস্টার থেকে শুরু করে প্রত্যেকের সঙ্গে। আমরা কিন্তু কারও পেছনে বলতে যাইনি, আমাদের এখনই সদস্য করেন। আমরা জানতাম প্রথমে তারা কয়েকটি দেশ নেবেন।’

তিনি বলেন, ‘ব্রিকসের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে লাঞ্চে বসি। আমার পাশেই ছিলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট, সাউথ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট। একদিকে ছিলেন নিউ ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল। ওই সময় আলোচনা হয়। তখন তারা বলেন যে, আমরা এখন এই কয়জন নেব। এর পর ধাপে ধাপে আমরা আরও সদস্য সংখ্যা বাড়াব।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি জানি এখন প্রশ্নটা আসবে? কারণ আমাদের অপজিশন খুব হুতাশ। আমরা নাকি চেয়ে পাইনি, হেন-তেন। বাংলাদেশ কিছু চেয়ে পাব না সেই অবস্থটা আর কিন্তু নেই। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে মর্যাদাটা তুলে ধরেছি সেখানে আমাদের সেই সুযোগটা আছে।’

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘এটা তারা বলতে পারে। কারণ, বিএনপির আমলে ওইটাই ছিল। সারাবিশ্বে বাংলাদেশের কোনো অবস্থানেই ছিল না। বাংলাদেশ মানেই ছিল দুর্ভিক্ষের দেশ, ঝড়ের দেশ, বন্যার দেশ, হাত পেতে চলার দেশ, ভিক্ষা চাওয়ার দেশ। এখন আর অন্তত বাংলাদেশ ভিক্ষা চাওয়ার দেশ না- এটা সবাই জানে।

১৫তম ব্রিকস সম্মেলনে যোগদান শেষে রোববার (২৭ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এর আগে, এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের ওআর টাম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতির পর ঢাকা আসেন তিনি। এবারের সফরে প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা ও একমাত্র মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ তার সঙ্গে ছিলেন।

এর আগে, ১৫তম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে ২২ আগস্ট রাতে জোহানেসবার্গে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বেশ কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে সাইডলাইন বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

অবস্থা প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ব্রিকস শেখ হাসিনা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর