বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, ছুঁই ছুঁই ধরলা-দুধকুমার
২৯ আগস্ট ২০২৩ ২০:০১
কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে উজানের ঢলে আবারও বাড়তে শুরু করেছে তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমারসহ সবকটি নদ-নদীর পানি।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেল ৩টার তথ্য অনুযায়ী তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলার পানি বিপৎসীমার মাত্র ২ সেন্টিমিটার ও দুধকুমারের পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেড়েছে ব্রহ্মপুত্রের পানিও।
এতে করে প্লাবিত হয়ে পড়ছে নদ-নদী অববাহিকার চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলগুলো। এসব এলাকার ঘর-বাড়িতে পানি না উঠলেও কাঁচা সড়ক তলিয়ে ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। আমন ক্ষেত তলিয়ে থাকায় ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষকরা।
সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের মোখলেছুর রহমান জানান, গত কয়েকদিন ধরে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতরাতে পানি বেড়ে রাস্তা তলিয়ে গেছে। আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে। দ্রুত পানি নেমে না গেলে আমাদের সমস্যায় পড়তে হবে।
অন্যদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙন বেড়েছে তিস্তা পাড়ে। রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ও উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের তিস্ত্রা বামতীর কমপক্ষে ২০টি পয়েন্টে ভাঙন শুরু হওয়ায় চিন্তি হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরই মধ্যে অনেক পরিবার ঘর-বাড়ি হারিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
রাজারহাটের খিতাবখা এলাকার ভাঙন কবলিত মানুষেরা জানান, বছরের পর বছর ধরে তিস্তার ভাঙন অব্যাহত থাকলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন কাজ করছে না। চেয়ারম্যান, ইউএনও দেখে যায়, কিন্তু কোন কাজ হয় না। শুধু বলে যায় কাজ হবে কাজ হবে। কিন্তু কিছুই হয় না।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তিস্তায় স্থায়ী ভাঙনরোধে সরকারের পরিকল্পনা থাকায় বড় কোন প্রকল্প চলমান নেই। এ কারনে ভাঙন কবলিত এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠোকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
রাজারহাটের বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কালিরপাঠ এলাকার আমিনুল বলেন, বুড়িরহাটের স্পারের মাথা দেবে যাওয়ায় পাড়ের পাশ দিয়ে পানির স্রোতে তীব্র হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে ভাঙন শুরু হয়েছে। স্পারের বাকি অংশ ঠেকানো না গেলে ভাঙন তীব্র হয়ে গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, তিস্তাসহ অন্যান্য নদ-নদীার ভাঙন কবলিত এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে কাজ চলমান রয়েছে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই।
সারাবাংলা/এনইউ