Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় ১০ হাজার মানুষ

গোলাম সামদানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৯ আগস্ট ২০২৩ ২০:২৭

ঢাকা : সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় এসেছে ১০ হাজারের অধিক মানুষ। এরইমধ্যে এই খাতে জমা হয়েছে ৫ কোটি ৭৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাঁদা জমা হয়েছে প্রগতি স্কিমে। এই স্কিমে ৫ হাজার ২২৪ জন গ্রাহক চাঁদা দিয়েছে। এই চাঁদার পরিমাণ ২ কোটি ৯৩ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা। আর সবচেয়ে কম চাঁদা জমা হয়েছে প্রবাসী স্কিমে। এই স্কিমে মাত্র ২৬৪ জন ৫২ লাখ ৪ হাজার টাকা জমা দিয়েছে। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ ব্যাপারে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় (২৯ আগস্ট) পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা সারাবাংলাকে বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিমে চালুর পর মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) পর্যন্ত ১০ হাজার ৮০ জন চাঁদা পরিশোধ করেছেন। তাদের জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণ পাঁচ কোটি ৭৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।’

তিনি বলেন, ‘পেনশন স্কিম শুরুতে মানুষের কাছ থেকে বেশ ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। আরও কিছু অর্থ জমা হলে বিনিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’

পেনশন স্কিমের অর্থ কোথায় বিনিয়োগ করবেন জানতে চাইলে তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা কোথায় বিনিয়োগ করব তা এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা যেতে পারে।’

জান গেছে, গত ১৭ আগস্ট প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করেন। শুরুতে প্রবাস স্কিম, প্রগতি স্কিম, সুরক্ষা স্কিম এবং সমতা স্কিম এ চার স্কিম নিয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা হয়েছে। তবে এখনও পরিচালন ব্যবস্থা, প্রশাসনিক ব্যবস্থা, বিনিয়োগ পলিসি, বিনিয়োগ টিম এসব চূড়ান্ত করা হয়নি। পেনশন স্কিম চালুর প্রথম ১৩ (১৭ থেকে ২৯ আগস্ট) দিনে পেনশন স্কিমে মোট চাঁদা দিয়েছেন ১০ হাজার ৮০ জন। সম্মিলিতভাবে চারটি স্কিমে জমা হওয়া চাঁদার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৫ কোটি ৭৭ লাখ ৩৫ টাকা। প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা নামের চারটি আলাদা পেনশন কর্মসূচির আওতায় এই চাঁদা দেওয়া হয়েছে। তবে নতুন করে আরও দুটি কর্মসূচি চালুর চিন্তা করছে সরকার। তবে এ বিষয়ে এখনও নীতিমালা চূড়ান্ত হয়নি। তবে, পেনশন কর্তৃপক্ষের পক্ষ বলছে, চাঁদার টাকা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ঝুঁকিমুক্ত খাতে বিনিয়োগ করা হবে। এ লক্ষ্যে বিনিয়োগ বিধিমালা তৈরির কাজ চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তা চুড়ান্ত করা হবে। তবে তা চুড়ান্ত করার আগে প্রাথমিকভাবে সরকারি সিকিউরিটিজ বা ট্রেজারি বন্ডে চাঁদার টাকা বিনিয়োগ করা হবে বলে জানা গেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পেনশন স্কিমে চাঁদা দেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীরা। আর সব থেকে কম নিবন্ধন করে বেশি চাঁদা দিয়েছেন প্রবাসীরা। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের জন্য চালু করা হয়েছে প্রগতি স্কিম। এই স্কিমে গত ১৩ দিনে ৫ হাজার ২২৪ জন গ্রাহক চাঁদা দিয়েছে। এর পরিমাণ ২ কোটি ৯৩ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা। আর প্রবাসীদের জন্য চালু করা হয়ছে প্রবাস স্কিম সবচেয়ে কম অর্থ জমা হয়েছে। এই স্কিমে মাত্র ২৬৪ জন ৫২ লাখ ৪ হাজার টাকা জমা দিয়েছে।

অন্যদিকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সুরক্ষা স্কিম। অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিরা যেমন- কৃষক, রিকশাচালক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতী ইত্যাদি পেশার ব্যক্তিদের জন্য এ স্কিম চালু করা হয়েছে। এ স্কিমের আওতায় ৩ হাজার ৬৫৫ জনে ১ কোটি ৬৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০টাকা জমা দিয়েছেন। এ ছাড়ও সমতা স্কিমে ৯৩৯ জন স্কিমে সম্মিলিতভাবে ৬৪ লাখ ১৬ হাজার টাকা। এ স্কিমে চাঁদাদাতা যে পরিমাণ অর্থ জমা দেবেন, সরকারের পক্ষ থেকে সমপরিমাণ অর্থ জমা দেওয়া হবে।

সারাবাংলা/জিএস/একে

টপ নিউজ সর্বজনীন পেনশন স্কিম


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

এখনো সালমানকে মিস করেন মৌসুমী
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৩

সালমান শাহ্‌কে হারানোর ২৮ বছর
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৪

সম্পর্কিত খবর