Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ঐতিহ্যবাহী বস্ত্র দেশের পোশাক খাতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৯ আগস্ট ২০২৩ ২১:২৭

ঢাকা: ঐতিহ্যবাহী বস্ত্র দেশের পোশাক শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে। এমন একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে দেশের পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমএই। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিজিএমইএ।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) দেশীয় ঐতিহ্যবাহী বস্ত্র ব্যবহার করে উচ্চমানের ফ্যাশনেবল পোশাক তৈরির মাধ্যমে স্থানীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ‘জিইএমএ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটিতে খ্যাতিমান বাংলাদেশি পোশাক ডিজাইনার কুহু প্লামন্ডন সহযোগিতা করছেন। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে উচ্চমূল্যের, ফ্যাশনেবল পোশাক তৈরি করা, যা বিশ্ববাজারে আবেদন সৃষ্টি করবে এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের আইকনিক চিত্র উপস্থাপন করবে। প্রকল্পের অধীনে ছয়জন ডিজাইনার ঐতিহ্যগত মোটিফ এবং শিল্পকর্মসহ নিট, ডেনিম এবং মসলিন ব্যবহার করে ফ্যাশনেবল পোশাক তৈরি করবেন।

চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে পণ্যের উন্নয়ন এবং নকশা বিশ্লেষণ বিষয়ে আলোচনা করতে জিইএমএ প্রকল্পের প্রতিনিধিরা এবং বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলো থেকে অংশগ্রহণকারী ডিজাইনাররা মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সের সেন্টার অব ইনোভেশন, এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড অকুপেশন সেফটি অ্যান্ড হেলথ (সিআইইওএসএইচ)-এ এক বৈঠকে মিলিত হন।

কুহু প্লামন্ডনের অধীনে “জিইএমএ” প্রকল্পের দলটি মসলিন ফ্যাব্রিক এবং শাপলা, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, রিকশা পেইন্টের মতো স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী মোটিফগুলো নিয়ে কাজ করছে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এসডিজি এর চেয়ারম্যান ওয়াসিম জাকারিয়া ও কুহু প্লামন্ডন।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প পণ্য ও ফেব্রিক্স বৈচিত্র্যকরণ, নকশা উন্নয়ন, মূল্য সংযোজন এবং প্রযুক্তিগত আপগ্রেডশনের মাধ্যমে প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াতে অব্যাহতভাবে প্রচেষ্টা গ্রহণ করে চলেছে।

তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ঐতিহ্যবাহী কাপড় ব্যবহার করে ফ্যাশনেবল পোশাক তৈরি করা এবং সেগুলোকে রফতানি বাজারের সঙ্গে যুক্ত করা হলে তা শুধুমাত্র বাংলাদেশকে বৈশ্বিক মঞ্চে তার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরতেই সাহায্য করবে না, তা নয়। বরং পাশাপাশি এটি বৈশ্বিক বাজারে আমাদের রফতানির শেয়ারও বাড়াবে।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী বস্ত্রের ব্যবহার বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/আইই


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর