১৫ আগস্ট না হলে বিএনপি-জামায়াত সৃষ্টি হতো না: আমু
৩০ আগস্ট ২০২৩ ২৩:০৬
ঢাকা: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। ১৫ আগস্ট না হলে এই দেশে বিএনপি ও জামায়াতের সৃষ্টি হতো না। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদের রাজনীতির বিস্তার ঘটতো না।
বুধবার (৩০ আগস্ট) রাতে রাজধানীর অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বরিশাল বিভাগ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীদের বিভিন্নভাবে পুনর্বাসন, খুনীদের বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনে পদায়ন, তাদের দিয়ে ফ্রিডম পার্টি গঠন , খুনি ও চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দিয়ে বাংলাদেশকে নব্য পাকিস্তান বানাতে সব ধরনের চেষ্টা ছিল জিয়া ও খালেদা জিয়ার আমলে। তাদের এসব কর্মকাণ্ডে প্রমাণিত বঙ্গবন্ধু হত্যা ব্যক্তি কিংবা পারিবারিক হত্যাকাণ্ড ছিল না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নস্যাৎ করে এই দেশকে আবারও পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়াই ছিল ঘাতকদের মূল লক্ষ্য।’
বরিশাল বিভাগ অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ও বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. মতিউর রহমান। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আয়োজক সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব মু. মাহবুব হোসেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারক, নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলমসহ অনেকে।
আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. জসিম উদ্দিন।
সারাবাংলা/এনআর/এমও