দক্ষিণ এশিয়ায় রেমিট্যান্সে ভারত প্রথম, বাংলাদেশ তৃতীয়
৩০ আগস্ট ২০২৩ ২৩:৫৫
ঢাকা: দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে রেমিট্যান্স আহরণে শীর্ষে রয়েছে ভারত। ২০২২ সালে দেশটির প্রবাসী আয় ছিল ১১১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। ২৯ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। আর তৃতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশের রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২১ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিট্যান্স সংক্রান্ত জুন-২০২৩ প্রান্তিকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, রেমিট্যান্স আহরণে বাংলাদেশের পরের দুটি স্থানে রয়েছে যথাক্রমে নেপাল ও শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কার মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের অবদান এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয়, যা বাংলাদেশের চেয়ে এক ধাপ ওপরে। তবে রেমিট্যান্স আহরণে বাংলাদেশের অবস্থান শ্রীলঙ্কা থেকে দুই ধাপ ওপরে।
দক্ষিণ এশিয়ার রেমিট্যান্স আহরণে শীর্ষে থাকা ভারতের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপিতে রেমিট্যান্সের অবদান ছিল ৩ দশমিক ৩ শতাংশ, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ। পরের অবস্থানে থাকা পাকিস্তানের জিডিপিতে প্রবাসী আয়ের অবদান ৭ দশমিক ৯ শতাংশ, যা এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে জিডিপিতে রেমিট্যান্সের অবদান ৪ দশমিক ৭ শতাংশ।
দক্ষিণ এশিয়ায় রেমিট্যান্স আহরণে চতুর্থ অবস্থানে আছে নেপাল। ২০২২ সালে দেশটির প্রবাসী আয় ছিল ৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। দেশটির প্রবাসী আয় মোট জিডিপির ২৩ দশমিক ১ শতাংশ, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। আর পঞ্চম অবস্থানে থাকা শ্রীলঙ্কার রেমিট্যান্স ২০২২ সালে ছিল ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার, যা তাদের মোট জিডিপির ৫ দশমিক ১ শতাংশ। জিডিপিতে প্রবাসী আয়ের অবদানে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয়ত অবস্থানে আছে শ্রীলঙ্কা।
এদিকে মাত্র দেড় বছর আগে ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে প্রায় দেউলিয়া হওয়ার জেরে ব্যাপক রাজনৈতিক সহিংসতা হয়েছিল শ্রীলঙ্কায়। এর ফলে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল দেশটির সরকার। দেশ ছাড়তে হয়েছিল তৎকালীন রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপাকশাকেও। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, সে পরিস্থিতি এখন অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে দেশটি। ফের দেশটির অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি পর্যটন খাত জমে উঠতে শুরু করেছে। এসব কারণেই জ্যামিতিক হারে বাড়ছে দেশটির রেমিট্যান্স।
সারাবাংলা/জিএস/টিআর