Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘জিয়ার লাশ কবরে নাই, কাকে ফুল দিচ্ছে নেতাকর্মীরা কি জানে?’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৩১ আগস্ট ২০২৩ ০০:০১

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাপ বাপকেও ছাড়ে না। জিয়াউর রহমান যেভাবে জাতির পিতাকে হত্যা করেছিল জিয়াকেও সেই একইভাবে হত্যা হতে হয়েছে। তার লাশের কিন্তু কোনো খবর নাই। সংসদ ভবন এলাকায় যে কবরটা দেওয়া আছে সেখানে জিয়াউর রহমানের লাশ নাই। এটা জেনারেল এরশাদ কিন্তু বলে গেছেন। বিএনপির নেতাকর্মীরা সেখানে যেয়ে ফুল দেয়। কিন্তু কাকে ফুল দিচ্ছে, তারা কি জানে?

বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস স্মরণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পর সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী সরকারগুলোর সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এই হত্যার সঙ্গে, ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যারা জড়িত; অত্যন্ত দুঃখের বিষয় খুনি মোশতাক এবং তার দোসর ছিল মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান যদি এই হত্যার সঙ্গে জড়িত না থাকতো মোশতাক কখনোই এটা করতে সাহস পেত না বা করতে পারত না। খুনি জিয়া যে এর সঙ্গে জড়িত ছিল এটা প্রমাণিত সত্য।’

‘কারণ, ১৫ আগস্টের ঘটনার পর পরই সংবিধান লঙ্ঘন করে মোশতাক যখন নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দেয়, তখন জিয়াউর রহমান তাকে সমর্থন দেয়। জিয়াউর রহমানকেই মোশতাক সেনাবাহিনী প্রধান হিসাবে ঘোষণা দেয়। আবার মোশতাককে হটিয়ে জিয়াউর রহমান নিজেকেই নিজে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে। আসলে বেঈমানদের স্থান বেশিদিন থাকে না। জিয়া ক্ষমতায় এসেই ইনডেমনিটিকে আইনে পরিণত করার জন্য নির্বাচন নিয়ে খেলা শুরু করে। ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলা কিন্তু জিয়াউর রহমানই শুরু করেছিল’- বলেন প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়া সংবিধান লঙ্ঘন করে যে ক্ষমতা দখল করেছিল তাকে বৈধতা দেওয়ার জন্যই ভোট হ্যাঁ-না ভোট আয়োজন করে। পরে করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। জিয়াউর রহমান পকেট থেকে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে কিছু লোক সৃষ্টি করে। এর পর অনেককে চাপ সৃষ্টি করে একটি দল গঠন করে। সেই দলটি হচ্ছে বিএনপি। এই দল দিয়েই নির্বাচনি প্রহসন এবং জনগণের ভোট নিয়ে ছিনিমিনি খেলা।’

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের এই ক্ষমতা নিষ্কন্টক করার জন্য সেনাবাহিনীর হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাসহ অফিসার সৈনিকদের নির্মমভাবে হত্যা করে। জাতির পিতাকে হত্যার পর বারবার সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে। আর জিয়াউর রহমান নির্বিচারে ফাঁসি দিয়ে, ফায়ারিং স্কোয়াডে দিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে। বিমানবাহিনীর শত শত অফিসারকে হত্যা করেছে। যাদেরকে হত্যা করেছে তাদের পরিবারগুলো এখনো লাশ খুঁজে বেড়ায়। কারণ, শুধু হত্যাই করেনি; হত্যার পরে সেই লাশগুলো গুম করে দিয়েছিল জিয়াউর রহমান।’

গুমের কালচার জিয়াউর রহমানের হাতে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তবে পাপ কাউকে ছাড়ে না। পাপ বাপকেও ছাড়ে না। যেভাবে জিয়াউর রহমান জাতির পিতাকে হত্যা করেছিল জিয়াকেও কিন্তু সেই একইভাবে হত্যা হতে হয়ে। সেও কিন্তু খুন হয়। তার লাশের কিন্তু কোনো খবর নাই। সংসদ ভবন এলাকায় যে কবরটা দেওয়া আছে সেখানে জিয়াউর রহমানের কোনো লাশ নাই। এটা জেনারেল এরশাদ কিন্তু বলে গেছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়ার লাশ তার স্ত্রী দেখেন নাই, ছেলে তারেক রহমান দেখে নাই, কোকো দেখে নাই। তার কোনো পরিবার-পরিজন বা আত্মীয়-স্বজন দেখে নাই। তাহলে লাশ গেল কোথায়? হ্যাঁ, জেনারেল এরশাদ অতি ধূর্ত লোক ছিল বলে একটা বাক্স এনে জনগণকে ধোঁকা দিয়ে ওই সংসদ ভবন এলাকায় রাখে। সেটাও একটা অবৈধ স্থাপনা। আমি দেখি বিএনপির নেতাকর্মীরা সেখানেই গিয়ে ফুল দেয়। কিন্তু কাকে দিচ্ছে ফুল তারা কি জানে?’

ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। বক্তব্য দেন- মহানগর উত্তরের সহসভাপতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সহসভাপতি সাদেক খান, আব্দুল কাদের খান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম মাজহার আনাম, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহেরুন নেসা মেরী।

এছাড়াও বক্তৃতা করেন- মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী, সহসভাপতি মিজবাউর রহমান ভূঁইয়া রতন, দিলীপ কুমায় রায়, বেগম সাজেদা চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন, গোলাম সারওয়ার কবীর। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং শেখ ফজলে নূর তাপস।

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

কবর জিয়াউর রহমান প্রধানমন্ত্রী রাশ

বিজ্ঞাপন

খুলনায় যুবকের পেটে মিলল ইয়াবা
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১২:০২

আরো

সম্পর্কিত খবর