ইজিবাইকচালককে হত্যা, ১২ বছর পর ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
৩০ আগস্ট ২০২৩ ২১:৪৫
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা শহরের ফার্মপাড়ার ইজিবাইকচালক জহুরুল ইসলামকে হত্যার এক যুগ পর এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদের মধ্যে একজনকে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং বাকি দুজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন বিচারক।
বুধবার বেলা ১২টায় চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী পলাতক দুই আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষে অপরাধ সন্দেহতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তিনি তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড সাজা দিয়েছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন হলেন- ঠাকুরগাঁওয়ের মাধবপুর গ্রামের শ্রী গনেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে শ্রী দিপক কুমার রায় (৩৭), গোপালগঞ্জের গাড়ইগাত গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে আবু সুফিয়ান মোল্লা (৪০) ও যশোরের চাচড়া রায়পাড়ার আব্দুস ছালামের ছেলে ফজলুর রহমান (৪৪)। এর মধ্যে ফজলুর পলাতক।
মামলার রায়ে দুই বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার সেউতিবাড়িয়া গ্রামের মরহুম সেকেন্দার আলী হাওলাদারের ছেলে জয়নাল হাওলাদার। তিনি পলাতক রয়েছেন। আর চুয়াডাঙ্গা শহরের ফার্মপাড়া রেলবস্তির ইয়ামিন আলীর ছেলে দিলন ও দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর বাগানপাড়ার ইয়াকুব আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ১০ আগস্ট দুপুরে দর্শনা পৌর এলাকার পরানপুর-লোকনাথপুর পাকা সড়কসংলগ্ন বেগুন ক্ষেত থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় দর্শনা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের এএসআই মো. নাসির উদ্দিন দামুড়হুদা মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।
পরে হত্যাকাণ্ডের শিকার ইজিবাইকচালক জহুরুল ইসলামের ছেলে অহিদুল ইসলাম (২৪) এ মামলার বাদী হন। পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে ছয় জনকে আসামি করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন ও আসামীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি সাগর।
সারাবাংলা/টিআর