Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যে কারণে এশিয়ার নোবেলখ্যাত ম্যাগসাইসাই পেলেন করভি রাকসান্দ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৩১ আগস্ট ২০২৩ ১১:৪২

ঢাকা: ২০২৩ সালের ৬৫-তম র‍্যামন ম্যাগসাইসাই পুরষ্কার পেয়েছেন জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাকসান্দ। অধিকারবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষায় অবদান রাখায় ‘এশিয়ার নোবেল’ খ্যাত এ পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) ফিলিপাইন থেকে এ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। ত্রয়োদশ বাংলাদেশি হিসেবে এ সম্মাননা অর্জন করেন ৩৮ বছরের করভি রাকসান্দ। সব শিশুর জন্য সমান শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত জাগো ফাউন্ডেশন তৈরি করে এর আগে নানা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননা পেয়েছেন এ তরুণ।

বিজ্ঞাপন

ম্যাগসাইসাই অ্যাওয়ার্ড কমিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, স্বস্তির ও নিরাপদ জীবন থেকে বঞ্চিত শিশুদের পাশে থেকে কাজ করতে এগিয়ে আসার যে জীবন করভি রাকসান্দ বেছে নিয়েছেন, তার সেই সাহসিকতাকেই স্বীকৃতি দিয়েছে বোর্ড অব ট্রাস্টি। তার কঠোর ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্ব শিক্ষার গণতন্ত্রায়নে ভূমিকা রেখেছে। তার সামাজিক রূপান্তরের আহ্বান উৎসাহিত করেছে হাজারও তরুণকে। সামাজিক রূপান্তরের জন্য তার অদম্য মনোভাব, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্ব ও দৃঢ় প্রতিশ্রুতির জন্য কমিটি তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে।

দারিদ্র্য, বৈষম্য, ও পরিবেশগত বিভিন্ন সমস্যার কারণে যেসব শিশু ঝরে পড়ে, তাদের জন্য শিক্ষার সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে ছয় বন্ধুর সঙ্গে মিলে  ২০০৭ সালে জাগো ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন করভি রাকসান্দ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে অধিকারবঞ্চিত শিশুদের পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছাতে বিনামূল্যে শিক্ষাদানের পাশাপাশি অনগ্রসর এলাকায় অবকাঠামো ও শিশুদের শিক্ষা উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে সংস্থাটি।

২০০৭ সালে ঢাকার রায়ের বাজার বস্তিতে একটি ভাড়া করা কক্ষে ১৭ জন ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়ে শুরু করা এই ফাউন্ডেশনের বর্তমানে দেশজুড়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩০ হাজারের বেশি।

বিজ্ঞাপন

২০১১ সালে ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি) প্রোগ্রামের সুচনা করেন রাকসান্দ। এর মাধ্যমে বর্তমানে দেশজুড়ে ৫০ হাজারের বেশি তরুণ সামাজিক উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

অলাভজনক সংস্থা জাগো ফাউন্ডেশন শিক্ষার পাশাপাশি যুব উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, সুশাসন এবং দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করে।
করভি ছাড়াও এবছর ভারতের রবি কান্নান আর, ফিলিপাইনের মরিয়ম করোনেল-ফেরার, তিমোর-লেস্তে থেকে ইউজেনিও লেমোস এ পুরষ্কার অর্জন করেছেন। আগামী ১১ নভেম্বর ফিলিপাইনের ম্যানিলার মেট্রোপলিটন থিয়েটারে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট র‍্যামন ম্যাগসাইসাইয়ের স্মরণে দেওয়া হয় এই পুরস্কার। জনসেবা থেকে শুরু করে সামাজিক উদ্ভাবনের মতো বিভিন্ন খাতে এশিয়ার যারা নিষ্ঠা, সাহসিকতা ও আত্মোৎসর্গকারী মানসিকতা নিয়ে এশিয়ান সমাজে ভূমিকা রেখে চলেছেন, তাদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

১৯৫৭ সালে মাত্র ৫০ বছর বয়সে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট র‍্যামন ম্যাগসাইসাই। পরের বছর ১৯৫৮ সাল থেকেই তার নামে এই পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। ৩১ আগস্ট র‌্যামন ম্যাগসাইসাইয়ের জন্মদিন হওয়ায় প্রতিবছর এই দিনটিতেই ম্যানিলা থেকে এ পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

সারাবাংলা/আরএফ/ইআ

করভি রাকসান্দ জাগো ফাউন্ডেশন র‌্যামন ম্যাগসাইসাই র‍্যামন ম্যাগসাইসাই পুরষ্কার ২০২৩

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর