খুলছে এক্সপ্রেসওয়ে: ১৫ মিনিটেই বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট
১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:৫৯
ঢাকা: অপেক্ষার প্রহর শেষ। যানজটে নাকাল রাজধানীবাসীকে স্বস্তি দিতে খুলতে যাচ্ছে আরেকটি প্রকল্পের দ্বার। এবারে টানা পথ উড়ালসড়কে নির্বিঘ্নে পাড়ি দেওয়ার সুযোগ করে দিতে চালু হচ্ছে ‘ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’। বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত এই এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য। তবে আপাতত উড়ালসড়কটি চালু হচ্ছে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত।
আগামীকাল শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন এক্সপ্রেসওয়ের সাড়ে ১১ কিলোমিটার অংশটি। তিনি নিজেই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণ কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশ ভ্রমণ করবেন গাড়িবহর নিয়ে। এরপর আগারগাঁওয়ে পুরাতন বাণিজ্যমেলা মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে যোগ দেবেন।
শনিবার এক্সপ্রেওয়ের যে অংশটি উদ্বোধন হচ্ছে, এটি রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত একটি সড়ক। এই সাড়ে ১১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সময় লেগে যেত ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এখন এক্সপ্রেসওয়ের কল্যাণে এই পথ মাত্র ১৫ মিনিটে পাড়ি দেওয়া সম্ভব হবে— এমন আশাতেই অপেক্ষার শেষ প্রহর গুনছে রাজধানীর বাসিন্দারা।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। থ্রি-হুইলার তথা তিন চাকার যানবাহন, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল ও পথচারীদের চলাচলের সুযোগ থাকবে না।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী সারাবাংলাকে বলেন, প্রকল্পটি দুই ভাগে চালু করা হবে। প্রাথমিকভাবে কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত পথটুকু খুলে দেওয়া হচ্ছে। বাকি কাজ শেষ করে আগামী বছরের জুন নাগাদ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পুরোটা খুলে দেওয়া যাবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, যানজট কমিয়ে রাজধানীবাসীর যাতায়াত সহজ করতে প্রায় এক যুগ আগে রাজধানীতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। পিপিপি পদ্ধতিতে নির্মাণাধীন এই এক্সপ্রেসওয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণ কাওলা থেকে শুরু হয়ে বিস্তৃত কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁওয়ের পর মগবাজার-মালিবাগ-খিলগাঁও- কমলাপুর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত।
প্রায় ২০ কিলোমিটারের দীর্ঘ এই উড়ালপথে ওঠানামার জন্য থাকছে আরও প্রায় ২৮ কিলোমিটার র্যাম্প। সব মিলিয়ে পথ প্রায় ৪৭ কিলোমিটার। আপাতত উন্মুক্ত হতে যাওয়া কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে র্যাম্প থাকছে আরও প্রায় ১১ কিলোমিটার। এই অংশের ১৫টি র্যাম্পের মধ্যে কাল উন্মুক্ত হচ্ছে ১৩টি।
২০১১ সালে কাজ শুরু হওয়া দেশের প্রথম এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ব্যয় ধরা হয়েছিল আট হাজার ৭০৩ কোটি টাকা। তবে কয়েক দফা প্রকল্প সংশোধনের পর এই ব্যয় বেড়ে হয়েছে ১৩ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বেড়েছে পাঁচ দফা। তবু পুরো কাজ শেষ হয়নি। তা সত্ত্বেও নগরবাসীর কথা চিন্তা করেই একাংশ খুলে দেওয়া হচ্ছে চলাচলের জন্য।
সারাবাংলা/জেআর/এনইউ
এক্সপ্রেসওয়ে এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা