ওয়ার্ল্ড ভিশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৬ সাংবাদিক
২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৩৪
ঢাকা: ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ আয়োজিত ‘মিডিয়া কম্পিটিশন ২০২৩’ বিজয়ী হয়েছেন ৬ সাংবাদিক। দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক নাজনীন আকতার ও এটিএন বাংলার মো. শরফুল আলম প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন। নগরবাসীর বিভিন্ন সমস্যা ও তা সমাধানে করণীয় বিভিন্ন প্রতিবেদন তৈরি করে তারা এই বিজয় অর্জন করেন। অন্য চার সাংবাদিক হয়েছেন প্রতিযোগিতার রানার আপ।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর লেক শোর হোটেলের লা ভিটা ব্যাঙ্কোয়েট হলে আয়োজিত সম্মননা প্রদান অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের অর্থ পুরস্কার, সম্মাননা স্মারক ও প্রশংসাপত্র তুলে দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান, ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, অতিরিক্ত সচিব মো. মনোয়ার হোসেন, পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সিনিয়র ডিরেক্টর (অপারেশন্স) চন্দন জেড গোমেজ, ফিল্ড অপারেশনের উপপরিচালক মঞ্জু মারিয়া পালমা, এবং প্রকল্প সমন্বয়ক শেখ সাইফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়া বিভাগে প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন দৈনিক সংবাদের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জাহিদা পারভেজ ছন্দা ও দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশের নিজস্ব প্রতিবেদক ফয়সাল খান। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বিভাগে প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন চ্যানেল আইয়ের নিজস্ব প্রতিবেদক জাকিয়া আকতার ও চ্যানেলন টোয়েন্টিফোরের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জিনিয়া কবির সূচনা।
প্রতিযোগিতার বিচারকমণ্ডলীর সদস্যরা হলেন গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, নেক্সাস টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী সালাউদ্দিন লাভলু ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ শাহানা হুদা রঞ্জনা। তাদের বিবেচনায় ‘স্কুলে অভুক্ত শিশুদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ক্ষতি’ বিষয়ক রিপোর্টের জন্য শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন প্রথম আলোর নাজনীন আকতার। এ ছাড়া দুই রানার আপ হয়েছেন ‘হারিয়ে যাচ্ছে মাঠ, চার দেয়ালে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম’ প্রতিবেদনের জন্য ছন্দা ও ‘দখলমুক্ত মাঠেও খেলতে মানা’ প্রতিবেদনের জন্য ফয়সাল।
অন্যদিকে ‘ভ্রান্ত ধারণা ও প্রয়োজনীয় উপকরণেরর অভাবে ব্যাহত হচ্ছে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা’ শিরোনামের রিপোর্ট মো. শরফুল আলমকে শ্রেষ্ঠত্বের সম্মান এনে দিয়েছে। অন্যদিকে দুই রানার নির্বাচিত হন জাকিয়া ও জিনিয়া যথাক্রমে ‘বায়ুদূষণ’ ও ‘দেশে বাড়ছে বাল্যবিবাহ’ রিপোর্টের জন্য।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমাদের সরকার ক্ষুধা নিরক্ষরতা দূরীকরণে কাজ করেছে আগামীতেও করবে। আর এই ক্ষুধা নিরক্ষরতা দূরীকরণের আমাদের অর্জন দৃশ্যমান। কোথায় ছিলাম আমরা আর এখন কোথায় আছি এটি পরিষ্কার।’
মন্ত্রী বলেন, ‘পূর্বের তুলনায় আমরা অনেক ভালো আছি। বিশেষ করে গত দেড় দশকে আমরা অনেক এগিয়েছি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য অনেক উন্নয়ন হয়েছে। গ্রামে গ্রামে আমাদের উন্নয়ন পৌঁছে গেছে।’
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘সরকার দাারিদ্রতা দূরীকরণে কাজ করছে। গ্রামে গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্প করে দিয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্রদের সহায়তা দিচ্ছে। যার প্রভাব আমরা দেখতে পাচ্ছি। এখন আমাদের মূল কাজ হলো দরিদ্র অবস্থা থেকে সরে আসা। কাজ করা। না খেয়ে শুয়ে থাকা থেকে আমাদের সরে আসতে হবে।’
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘দারিদ্র্য দূর করতে হবে। কারণ দারিদ্র্য থাকলে অনেক কিছুই করা সম্ভব নয়। আমরা এখন অনেক ভালো সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।’ একইসঙ্গে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের এই উদ্যোগের প্রশংসা করে এবং বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান তিনি।
উল্লেখ্য, এ বছরের ১৪ মে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ‘মিডিয়া কম্পিটিশন ২০২৩’র ঘোষণা দেয় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ। রিপোর্ট জমা নেওয়া হয় ২০ জুলাই পর্যন্ত।
সারাবাংলা/জেজে/আরএফ/একে