বিমানবন্দরে কাস্টমসের গুদাম থেকে ১৫ কেজি সোনা চুরি
৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০১:০০
ঢাকা: হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমসের গুদাম থেকে প্রায় ১৫ কেজি সোনা চুরি হয়েছে। এর মধ্যে সোনার বার ছাড়াও ছিল সোনার অলংকার। পুলিশ ও অপরাধ তদন্ত বিভাগসহ (সিআইডি) আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সোনা চুরির ঘটনা তদন্তে কাজ করছে। চুরি যাওয়া সোনার দাম বর্তমান বাজারদরে প্রায় ১৫ কোটি টাকা।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে শাহজালাল বিমানবন্দরে দায়িত্বরত একাধিক সংস্থা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সারাবাংলা সোনা চুরির তথ্য জানতে পেরেছে। তবে দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা বিষয়টি সরাসরি স্বীকার করেননি এবং এ বিষয়ে মন্তব্য করতেও রাজি হননি।
বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভেতরে ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ অর্থাৎ হারিয়ে যাওয়া ও খুঁজে পাওয়া পণ্য রাখার স্থানের পাশেই রয়েছে কাস্টমসের গুদাম। বিমানবন্দরে কাস্টমসহ বিভিন্ন এজেন্সির জব্দ করা মূল্যবান সামগ্রী জমা থাকে এই গুদামে। সেখানকার ১৫ কেজি সোনারই সন্ধান মিলছে না।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, সোনার অলংকার ও সোনার বার মিলিয়ে প্রায় ১৫ কেজি সোনা কাস্টমসের গুদামের একটি আলমারিতে বাক্সের মধ্যে সংরক্ষিত ছিল। সেই বাক্সটিই চুরি হয়ে গেছে। আর কাস্টমসের গুদামের আলমারি ভেঙে চুরি করা হয়েছে বাক্সটি। কীভাবে এই সোনা চুরি হয়েছে, তা জানতেই এখন বিমানবন্দরে বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে।
এদিকে শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, সোনা চুরির বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পর থেকেই ঢাকা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরে কাস্টমসের গুদামে রক্ষিত সব সোনার অলংকার ও সোনার বারের হিসাব করছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, হিসাব শেষে চুরি যাওয়া যাওয়া সোনার পরিমাণ আরও বাড়তেও পারে।
এ বিষয়ে জানতে ঢাকা কাস্টম হাউজের সহকারী ও যুগ্ম কমিশনার পদের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলেও তাদের কেউই এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি। বিমানবন্দরে কর্মরত সংস্থাগুলোর কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তাও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অন্যদিকে ঢাকা কাস্টম হাউজের কমিশনার নুরুল হুদা আজাদকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। তার মোবাইল নম্বর ও হোয়াটসঅ্যাপে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি সাড়া দেননি।
সারাবাংলা/এসজে/টিআর