ভারতের রাজধানী দিল্লিতে গৃহশিক্ষককে হত্যার অভিযোগে ১৪ বছরের এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত শিক্ষক ওই কিশোরকে একাধিকবার যৌন নির্যাতন করেছিলেন এবং তার একটি গোপন ভিডিও ধারণ করেছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। খবর এনডিটিভি।
প্রতিশোধ নিতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই শিক্ষককে হত্যার তিন দিন পর গত শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করে পুলিশ।
দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির ডিসিপি রাজেশ দেও বলেন, গত ৩০ আগস্ট দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে ফোনে বলা হয়, জামিয়া নগরের বাটলা হাউসের দ্বিতীয় তলার একটি ঘর থেকে রক্ত বের হচ্ছে এবং ঘরটি খোলা।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ দেখতে পায়, ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে ওই ব্যক্তির লাশ এবং গলায় গভীর কাটার ক্ষত। ওই গৃহশিক্ষক তার পরিবারের সঙ্গে জাকির নগরে থাকতেন।
এ ঘটনায় একটি খুনের মামলা করে তাৎক্ষণিক তদন্ত শুরু করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পায়, নিহত গৃহশিক্ষক সমকামী ছিলেন। দুই মাস আগে ছেলেটির সঙ্গে তার দেখা হয়। এরপর থেকে বেশ কয়েকবার তাকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন তিনি।
সেই ছেলেটির অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণ করেন ওই শিক্ষক। এরপর সেই ভিডিও দিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেইল করতেন। তার কথায় রাজি না হলে গৃহশিক্ষক ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করার হুমকিও দেন বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
ঘটনার দিন, গৃহশিক্ষকের ফোন পেয়ে জামিয়া নগর বাড়িতে তার সঙ্গে দেখা করেত যান ওই কিশোর। এসময় একটি ধারালো পেপার কাটার সঙ্গে নেয়। এরপর ওই ব্যক্তির গলা কেটে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান তিনি।
যে এক কক্ষের ফ্ল্যাট থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে তা ওই ব্যক্তির পরিবারের মালিকানাধীন। যা ভাড়া দেওয়া হয়েছিল এবং ঘটনার কয়েকদিন আগে একজন ভাড়াটিয়া তা খালি করেছিলেন বলে জানায় পুলিশ।