Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: ১২ ঘণ্টায় ১১ লাখ টাকার টোল আদায়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৫১

ঢাকা: দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার প্রথম ১২ ঘণ্টায় (ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত) গাড়ি চলেছে ১৩ হাজার ১৬৫টি। আর এ সময় আয় হয়েছে ১১ লাখ ৮ হাজার ২৪০ টাকা। এদিন উড়ালসড়ক দিয়ে চলাচল করা যানবাহনের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল প্রাইভেটকার।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট অংশ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর একদিন পর রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য সড়কটি খুলে দেওয়া হয়। এদিন সকাল ৬টা থেকে যানবাহন চলাচল শুরু হলেও দুপুর পর্যন্ত বাস চলাচলের সংখ্যা ছিলো একেবারেই কম। বিশেষ করে বেসরকারি বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার সারাবাংলাকে জানান, সড়কটি দিয়ে প্রথম দিন যেসকল গাড়ি চলাচল করেছে তার প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি ছিল প্রাইভেট কার।

সূত্রে জানা যায়, সড়ক খুলে দেওয়ার প্রথম দিনে বিমানবন্দর এলাকার কাওলা থেকে বনানী-মহাখালী হয়ে ফার্মগেটে চলাচল করা গাড়ির সংখ্যা ছিলো ৭ হাজার ৭৪৮টি। এছাড়াও কুড়িল থেকে বনানী হয়ে ফার্মগেটে নেমেছে এক হাজার ৬৩৮টি, বনানী থেকে কুড়িল হয়ে কাওলা নেমেছে এক হাজার ৪৩৮টি গাড়ি। আর ফার্মগেট থেকে মহাখালী হয়ে বনানী-কুড়িল হয়ে কাওলার অংশে নেমেছে ২ হাজার ৩৪১টি যানবাহন।

প্রসঙ্গত, বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশের কাজ শেষ হয়েছে। ঢাকার যানজট ভোগান্তি কমাতে এক্সপ্রেসওয়ের এই অংশটির দুয়ার খুলে দেওয়া হবে।

এক্সপ্রেসওয়েটি কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকা পর্যন্ত যাবে। এক্সপ্রেসওয়েটি তৈরি হচ্ছে সরকারের সেতু বিভাগের তত্ত্বাবধানে। মূল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। প্রকল্পে ওঠানামার জন্য মোট ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র‌্যাম্প রয়েছে। র‌্যামম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। শনিবার এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনকৃত অংশে ১৫টি র‍্যাম্প রয়েছে। বিমানবন্দরে ২টি, কুড়িলে ৩টি, বনানীতে ৪টি, মহাখালীতে ৩টি, বিজয় সরণিতে ২টি এবং ফার্মগেটে ১টি। ১৫টির মধ্যে ১৩টি র‍্যাম্প প্রাথমিকভাবে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলকারী যানবাহনকে চারটি ক্যাটাগরিতে টোল দিতে হচ্ছে। প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস (১৬ আসনের কম) এবং মিনি-ট্রাক (৩ টনের কম) ৮০ টাকা, মাঝারি আকারের ট্রাক (৬ চাকা পর্যন্ত) এবং ৬ চাকার বেশি বড় ট্রাক যথাক্রমে ৩২০ টাকা এবং ৪০০ টাকা দিতে হবে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা-ফার্মগেট অংশে ১৬ বা তার বেশি আসন বিশিষ্ট সব বাস ও মিনিবাসকে ১৬০ টাকা দিতে হবে। থ্রি-হুইলার, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল ও পথচারী চলাচল করতে পারবে না।

সরকারি-বেসরকারি যৌথ বিনিয়োগে (পিপিপি) তিন ধাপে উড়াল সড়ক প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রথম ধাপ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে বনানী রেলস্টেশন পর্যন্ত। দ্বিতীয় ধাপ বনানী রেলস্টেশন থেকে মগবাজার রেলক্রসিং পর্যন্ত। তৃতীয় ধাপ মগবাজার রেলক্রসিং থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত। ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি প্রকল্পটির নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয়।

এই প্রকল্পের নির্মাণকাল ধরা হয়েছে ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পটির বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা, যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে দুই হাজার ৪১৩ কোটি টাকা।

সারাবাংলা/জেআর/এনইউ

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে টপ নিউজ টোল


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর