চাঁদের বুকে ঘুমিয়ে গেছে ল্যান্ডার বিক্রম
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:২১
ঢাকা: ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ইসরো) পরিকল্পনা মেনে চাঁদের বুকে সফলভাবে ‘সফট ল্যান্ডিং’ করেছে ল্যান্ডার বিক্রম। সফলভাবে তার ‘কোল থেকে’ নেমেছে রোভার প্রজ্ঞান। চন্দ্রপৃষ্ঠে ঘুরে ঘুরে ইসরো নির্দিষ্ট কাজও সম্পন্ন করেছে। তবে এবার ‘বিশ্রাম মুডে’ রয়েছে প্রজ্ঞান। প্রজ্ঞানের মতোই এবার চাঁদের পৃষ্ঠে ‘ঘুমিয়ে পড়েছে’ ল্যান্ডার বিক্রমও।
ইসরোর পক্ষ থেকে সোশাল মিডিয়া পোস্টে জানান হয়েছে, ‘স্লিপ মুড’-এ চলে যাচ্ছে বিক্রম ল্যান্ডার। তবে তার আগে আরেকটি কাজও সেরেছে সে। বিক্রমের ইঞ্জিনকে সচল করে তাকে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০ থেকে ৪০ সেমি তুলে নেওয়া হয়েছে এদিন। তারপর আবার তাকে অবতরণ করানো হয়েছে আগের পজিশন থেকে ৪০ সেমি দূরে। সেই ভিডিও-ই প্রকাশ করেছে ইসরো।
তবে এবার একটি ঘুমিয়ে নেওয়ার পালা। পৃথিবীর ১৪ দিন মানে চাঁদের একদিন। এবার শেষ হচ্ছে সেই চন্দ্রদিন। সূর্যের আলোর অপেক্ষা করতে করতে এবার ঘুম দেবে বিক্রম। এরপর সূর্যের আলো চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছলে ফের জেগে উঠবে সে।
ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এদিন একটু ইন-সিটু এক্সপেরিমেন্ট করা হয়। ChaSTE, RAMBHA-LP এবং ILSA পে-লোড বর্তমানে নতুন লোকেশনে রয়েছে। আপাতত সেই পে-লোডগুলোকে বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ল্যান্ডারের রিসিভার অন থাকছে।
প্রজ্ঞানের পাশেই এবার ঘুমিয়ে পড়ল বিক্রম। ২২ তারিখ দু’জনেরই ‘ঘুম ভাঙার’ কথা রয়েছে। সেই দিনেই তাকিয়ে রয়েছে ইসরো।
এদিকে আজ যে পরীক্ষা করা হয়েছে, এর মাধ্যমে বিজ্ঞানের আরেকটি দিক উন্মোচিত হতে পারে। চাঁদের মাটিতে দ্বিতীয়বারের জন্য ল্যান্ডিং করেছে বিক্রম। ল্যান্ডারের সঙ্গে একটি hop experiment করেছে ইসরো। এতদিন সবাই ভেবেছেন চাঁদের বুকে কাজকর্ম সেরে চাঁদের মাটিতেই চিরস্থায়ী বাসা বাঁধতে হবে ল্যান্ডারকে। পেছনে ফেরার রাস্তা আর নেই। বাড়ি ফেরার কথা আর ভাবতে পারবে না ল্যান্ডার। কিন্তু এবার বোধ হয় খুব হালকা হলেও, একটা আশার আলো দেখা গেল।
মহাকাশ বিজ্ঞানী দেবীপ্রসাদ দুয়ারির মতে, বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের বেঁচে থাকা নির্ভর করছে অনেক ‘যদি’ এবং ‘তবে’র ওপর। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ১৪ দিনের ‘সকাল’ কাটানোর পর নামবে ১৪ দিনের অতিশীতল রাতও। এই ১৪ দিন সূর্যরশ্মির একটি কণাও প্রবেশ করবে না চাঁদের ‘দক্ষিণমেরু’তে। তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে মাইনাস ৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত। তাতে চন্দ্রযান-৩-এর যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাই বেশি।
সারাবাংলা/একে