ড. ইউনূসের পক্ষে বিবৃতির প্রতিবাদ ২০১ কৃষিবিদের
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:৫৬
ঢাকা: ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিতের দাবির প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ২০১ জন বিশিষ্ট কৃষিবিদ। নোবেলজয়ীসহ বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের ওই দাবিকে কৃষিবিদরা বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়ার ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন। বিষয়ট নিয়ে তারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে ওই বিবৃতি পাঠান কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের (কেআইবি) দফতর সম্পাদক এম এম মিজানুর রহমান।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৮ আগস্ট কয়েকজন নোবেল বিজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের সদস্য বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রদত্ত এক খোলা চিঠিতে বাংলাদেশের শ্রম আইনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলা স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছেন যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এটি সার্বভৌম একটি দেশের স্বাধীন বিচারব্যবস্থার ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপ। দেশের বিবেকবান নাগরিক হিসেবে আমরা বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়ার ওপর এ ধরনের অযাচিত হস্তক্ষেপের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়— আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই যে, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন। অতএব আমরা মনে করি, এ ধরনের চিঠি প্রদানের মাধ্যমে বিবৃতিদাতারা অনৈতিক, বেআইনি ও অসাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীন বিচারব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ করেছেন।
এ ধরনের বিবৃতি বা খোলা চিঠি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং বাংলাদেশের আইনে শ্রমিকদের প্রদত্ত অধিকার সংক্রান্ত বিধানাবলির সম্পূর্ণ পরিপন্থি। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, এ ধরনের বিবৃতি ও চিঠি প্রদান করে বিবৃতিদাতা সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ ও নোবেল বিজয়ীগণ প্রকৃতপক্ষে ন্যায়বিচার এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পরিপন্থি কাজকেই উৎসাহিত করতে চেয়েছেন।
বিবৃতিদাতারা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে সবারই আইনি সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচারকার্য বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুসারে ও স্বাধীনভাবে সম্পন্ন হচ্ছে বিধায় তার বিচারিক হেনস্তার অভিযোগ কল্পনাপ্রসূত, অমূলক ও অনাকাঙ্ক্ষিত।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে আছেন, কেআইবির সাবেক মহাসচিব ড. মির্জা এ জলিল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক এম এনামুল হক, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নূর মোহাম্মদ তালুকদার, সাবেক সভাপতি ও কার্যনির্বাহী সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও কেআইবির কার্যনির্বাহী সদস্য কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এ কে এম সাইদুল হক চৌধুরী, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও কেআইবির কার্যনির্বাহী সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহম্মদসহ ২০১ জন।
বিবৃতিদাতাদের পূর্ণ তালিকা দেখুন এখানে—
সারাবাংলা/ইএইচটি/একে